অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য রাজনীতিকদের মামলায় জেরবার কলকাতা হাইকোর্ট। এতেই উষ্মাপ্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে রক্ষাকবচের আবেদন জানান। ১৫ জুলাই পর্যন্ত রক্ষাকবচও দেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যকে বিচারপতির প্রশ্ন, “যখন ভোটের আগে এত রক্ষাকবচ হাইকোর্ট দিয়েছিল, তখন কেন ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্ট যায়নি রাজ্য? অভিযুক্তর ভোটের আগেও যে স্ট্যাটাস ছিল, ভোটের পরেও তাই। তখন যদি এভাবে রক্ষাকবচ দেওয়ায় রাজ্য সমর্থন করে, তাহলে এখন কীসের আপত্তি?”
উষ্মাপ্রকাশ করে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭-২৮টি মামলা। তার ওপরে এইরকম আরও ১০টা মামলা এখনই আছে। শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনে যাব নাকি?” রাজনৈতিক মামলা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে , তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারব্যস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন,’ হাইকোর্ট তো মাফিয়া ও সমাজবিরোধীদের আশ্রয় দিচ্ছে’। অভিষেকের এই মন্তব্যে এখন রাজ্য রাজনীতি সরগরম। এই আবহে অভিষেকের করা মন্তব্যের জেরে সোমবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূল সাংসদের নাম না করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।