অবতক খবর,২০ জুন: আবহাওয়াবিদ বা হাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। আসছে বর্ষাকাল। আর কয়েক দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দেখা মিলবে। আর এতেই আতঙ্কিত হাওড়ার বিপদজনক বাড়ির বাসিন্দারা। হাওড়া শহরে প্রায় 400টিরও বেশি বাড়ি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে হাওড়া কর্পোরেশন।
সবকটি বাড়িতে নোটিশ দেয়া সত্বেও মালিক পক্ষ কোনো রকম সচেতনতা দেখাতে অক্ষম। কারণ বেশিরভাগ বাড়ির মধ্যে সরিকি ঝামেলা ও মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝামেলা কে কেন্দ্র করে বাড়িগুলি কোনরকম রিপেয়ারিং এর কাজ করতে পারছে না। আর মৃত্যু ভয়ে ভুগতে হচ্ছে সেই সকল বাড়ির বাসিন্দাদের।
হাওড়া কর্পোরেশনে প্রায় ৪০০টি বিপদজনক বাড়ি, আতঙ্কে বেশ কয়েক হাজার মানুষ।
বালি পৌরসভা অন্তর্গত প্রায় 27 টি বাড়ি এবং হাওড়া কর্পোরেশনের অন্তর্গত সবমিলিয়ে প্রায় 400 টি বিপদজনক বাড়ি দেখা গিয়েছে। এবং প্রত্যেক বাড়িতে বারবার করে নোটিশ ও পাঠানো হয়েছে সেখানকার লোকজনকে বলা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নতুন করে ডেভলপমেন্ট করে থাকার জন্য
বালি পৌরসভা অন্তর্গত ইচকে চ্যাটার্জি স্ট্রিট, গিরিশ ঘোষ রোড ,হেমপাল লেন, জি টি রোড, লিলুয়া, বেলুড় ,বালি, সালকিয়া, ধর্মতলা রোড, বাধাঘাট, কদমতলা, সহ বিভিন্ন এলাকায় এলাকার যে সমস্ত বিপদজনক বাড়িগুলো রয়েছে সেটাতে কোথাও সরিকি ঝামেলা এবং কোথাও বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার ঝামেলা চলছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী ।বিপদজনক বাড়ির বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন যে কিছু লোককে টাকা পয়সা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু ভাড়াটিয়া দেরকে শিফটিং করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া জায়গাটা ঠিক করতে দিতে চাইছে না ভাড়াটিয়ারা যদি রাজি হয়ে যায়।
তাহলে তাদের যে জায়গা রয়েছে সে নির্দিষ্ট জায়গা তারা শুধুমাত্র বানানোর খরচা দিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিতে পারবে। একদিকে ভাড়াটিয়া জানিয়েছেন যে, আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য যেগুলো আমাদেরকে যদি দেওয়া হয় আমরা নিশ্চয়ই সেখানে নতুন করে বাড়ি হতে দেব। বেশ কোন কোন জায়গায় বাড়িওয়ালা বা ডেভলপাররা, ভাড়াটিয়াদেরকে অন্য জায়গাতেও থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে যে যদি কোন রকম ভাবে অঘটন বা দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায়ী কে নেবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বারবার তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং মিটিং করেও বলে দেওয়া হয়েছে তার পরেও তারা বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছে না। সামনে আসছে বর্ষাকাল বাড়ির কোথাও ছাদ পড়ে যাচ্ছে কোথাও সিঁড়ি ভেঙে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগেও দেখা গেল হাওড়ার কোনাতে এক ভদ্রমহিলা ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল। আর এই বর্ষার মৌসুমে যদি অঘটন বা দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায়িত্ব কে নেবে হাওড়া কর্পোরেশন না হাওড়া বাসী।