রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া :: গতকাল বিকেল ৫ টা থেকে হাওড়া জেলার কনটাইন্টমেন্ট জোনগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন করে লকডাউন। ইতিমধ্যেই সংক্রমনের হার ও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আশ্চর্য জনক ভাবে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমল হাওড়ায়। পূর্বের কনটেনমেন্ট জোনের থেকে নতুন কনটেইনমেন্ট জনের তালিকায় তা এসে দাড়ালো প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
বুধবার রাজ্য সরকার এই নতুন কনটেইনমেন্ট জুনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে বর্তমানে হাওড়ায় মোট ৫৬ টি কনটেইনমেন্ট জন রয়েছে। এরমধ্যে হাওড়া শহর এলাকায় ১৭টি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৩৯ টি এলাকায় এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পূর্বের তালিকায় হাওড়ায় কনটেইনমেন্ট তালিকায় ছিল ১৪৬ টি এলাকা। এর মধ্যে শহরে ছিল ৪১ টি এবং গ্রামে ছিল ১০১ টি। নতুন কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় বাগনান ১ নম্বর ব্লকের কোন এলাকা নেই।
তবে নতুন এই তালিকায় কনটেনমেন্ট জোনের পাশাপাশি রাজ্য সরকার আইসোলেশন জোনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই জোনে হাওড়ার মোট ৪৫টা এলাকা রয়েছে। ৪৫ এলাকার মধ্যে হাওড়ার শহরের ১৮টি এলাকার রয়েছে এবং ডোমজুড়ের রয়েছে ৯টি ও সাঁকরাইলের ১৭টি এলাকা রয়েছে। তবে উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকার মধ্যে কোন এলাকা আইসোলেশন জোনে নেই। এমনকি উলুবেড়িয়া পৌরসভা এলাকার কোনো জায়গা আইসোলেশন জোনের মধ্যে নেই। যেসব এলাকায় মাত্র একজন করে করোনা আক্রান্ত রয়েছে সেইসব এলাকাগুলোকে আইসোলেশন জোনের মধ্যে ফেলা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার মধ্যে উলুবেড়িয়া পৌরসভা এলাকায় একটি, বালি জগাছা ব্লকে একটি, পাঁচলা ব্লকে একটি, শ্যামপুর এক নম্বর ব্লকের দুটি ও শ্যামপুর দু’নম্বর ব্লকে একটি, আমতা ১ নম্বর ব্লকে দুটি, আমতা দু’নম্বর ব্লকে একটি, বাগনান দু’নম্বর ব্লকে একটি, সাঁকরাইল ব্লক এ দুটি, উদয়নারায়নপুর ব্লকে এগারোটি, ডোমজুড় ২টি, জগৎবল্লভপুরে দশটি, উলুবেরিয়া ১ নম্বর ব্লকের দুটি ও উলুবেরিয়া দু’নম্বর ব্লকে দুটি ও ২ নম্বর ব্লকে দুটি এলাকা রয়েছে খনটেনমেন্ট জোনে রয়েছে। তবে বাগনান ১ নম্বর ব্লকের কোন জায়গা কনটেনমেন্ট জোনে নেই।
আজ দ্বিতীয় দিনেও পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার পথচারী ও গাড়ি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হাওড়া সিটি পুলিশ। ৮ ই জুলাই স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬ এবং ৯ ই জুলাই গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে ১৬৭ জন কিন্তু কনটাইন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা কমিয়ে করোনা সংক্রমনের হার কতটা কমানো সম্ভব হবে তা ৭ দিন পরে বোঝা যাবে।