অবতক খবর,২২ মার্চ: গতকাল রাতে বীজপুর বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত হাজিনগর অঞ্চলে অবস্থিত একটি মন্দিরে বোমাবাজি করে কিছু দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বিকি বাল্মীকি। উল্লেখ্য, গতকাল এই মন্দিরেই সকালে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার করেন বীজপুরের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়। আর তারপর রাতেই সেখানে বোমাবাজি হয়।
বিকি বাল্মীকি বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎই কিছু দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে প্রথমে ওই মন্দিরে বোমা মারে। তারপর সেখানে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে লক্ষ্য করেও ছোড়া হয় দুটি বোমা।বোমা তার গায়ে না লাগলেও তিনি ছিটকে পড়ে যান মাটিতে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ সকালে বিকি বাল্মীকিকে তার বাড়িতে দেখতে যান তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারী, তৃণমূল নেতা কমল অধিকারী,রাজু সাহানি সহ একাধিক নেতৃত্ব।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুবোধ অধিকারী বলেন,”গতকাল এই অঞ্চলে ভোট প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়। তিনি ওই মন্দিরে পুজো দেন। কিন্তু ভোট প্রচারে এসে এই অঞ্চলের মানুষের সাড়া পাননি তিনি। কোন জায়গাতেই তেমনভাবে মানুষের সাড়া পাচ্ছেন না তিনি। কারণ বিজেপিকে মানুষ চায় না। সেই রাগে ক্ষোভে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আসলে বিজেপি হল দাঙ্গাবাজ দল। তারা জানে যে তারা শুধু বীজপুরে কেন সারা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই তারা শান্ত বীজপুরকে আবার উত্তপ্ত করতে চাইছে। বিকি বাল্মীকি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তাই তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই তারা দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বীজপুরের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। এর জবাব তারা দেবেন আগামী ২রা মে।”
রাজু সাহানি বলেন,”সবাই জানে বিজেপির আসল রূপ। এই অঞ্চলে যা উন্নয়ন হয়েছে তা সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়েছে। গতকাল যে মন্দিরে বোমাবাজি হয়েছে সেই মন্দিরটিও নির্মাণের প্রতিশ্রুতি আমাদের দুবারের বিধায়ক দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মন্দিরটি নির্মাণ করেননি। অবশেষে বিষয়টি নজরে আসে সুবোধ অধিকারীর। আর তারপরেই তিনি এই মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব নেন। এতেই বোঝা যায় তাদের নীতি আদর্শ কি। কিন্তু হাজিনগরের মানুষ এর জবাব দেবে।”
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।