অবতক খবর: রাজ্যে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গোঁজ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিল বিজেপি। দলের টিকিট না পেয়ে হাবড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির বারাসাত সাংগাঠনিক জেলা কমিটির ২ সদস্য। এছাড়াও কুমড়া পঞ্চায়েতে একাধিক বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির ২ নির্দল প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের কাছে জবাব চেয়েছে দল। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র।অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, একাধিকবার জেলা সভাপতিকে জানানো সত্ত্বেও তাদের মনোনীত প্রার্থীদের আমল দেওয়া হয়নি। তাই কর্মীদের মুখ চেয়ে নির্দল দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, বিজেপির কোন্দলে আখেরে লাভ হবে তাদেরই।
মতুয়াদের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ওপরে। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে এলে তাঁকে মতুয়াদের মূল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর এই সংস্কৃতির জন্য মতুয়াদের বদনাম হয়েছে। শান্তনু ঠাকুরকে কাঠগড়ায় তুলেছে মতুয়াদের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ।
দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতারা এখন বিজেপির ভোটের পথে কাঁটা বিছিয়েছে গোঁজ প্রার্থী হয়ে। তাঁরা নির্দল হয়ে লড়াই করছেন। সুতরাং মতুয়া সমাজের একটা বড় অংশের ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শান্তনু। বনগাঁ মহকুমা, কল্যাণী, রানাঘাট মহকুমায় বিরক্ত দলের নিচুতলার কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই তিন মহকুমা এলাকায় প্রায় ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপিরই গোঁজ প্রার্থীরা। নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁরা লড়ছেন। এই নির্দল প্রার্থীরা বিজেপির কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলেই চিন্তায় পড়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। কারণ তার সুবিধা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।