অবতক খবর,১৬ জানুয়ারি: হালিশহর, যা একসময় হাবেলি শহর নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এই ঐতিহ্যবাহী শহরে ছিল ৫০০ টিরও বেশি পুকুর। কিন্তু এখন দেখতে গেলে হাতেগোনা কয়েকটি পুকুর পড়ে রয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী শহরে। কিন্তু সেই পুকুরগুলোর দিকেও চোখ পড়ে গেছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীদের। একসময় যখন পুকুর ভরাটের দৌরাত্ম্য চলছিল হালিশহরে, তখন পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল হালিশহরের যে সমস্ত পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেছে সেগুলি আবার খনন করা হবে। কিন্তু তাদের কথা এবং কাজে দেখা গেল বিস্তর ফারাক। অর্থাৎ যে পুকুরগুলো বোজানো হয়ে গেছে সেগুলি আর পুনরুদ্ধার করা যায়নি।
এখন করোনাকালীন সংকট পরিস্থিতি। আর এই সংকটকালে পুকুর মাফিয়ারা আরো বেশি জোর দিয়েছে পুকুর ভরাটের দিকে। হালিশহরের বিভিন্ন অলিগলিতে যে সমস্ত পুকুরগুলো রয়েছে সেগুলি তো ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে কিংবা ভরাটের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু এবার প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের আলোতেই ভরাট হচ্ছে পুকুর। হালিশহরের প্রধান সড়কে সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছে মাটি ভর্তি ডাম্পার। আর সেই মাটি গুলি দিয়েই পুকুর ভরাট হচ্ছে দিনে রাতে।
ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল হালিশহর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ হালিশহর স্টেশন রোডের উপর ভরাট হচ্ছে একটি পুকুর। সেটি নাকি একেবারেই বিধায়কের অফিসের সামনে।
এ বিষয়ে যখন বিধায়কের কাছে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। আর এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। দেখা যায় ,ওই পুকুরটি আসলে বিধায়কের অফিসের সামনে নয়। তারপরেই তিনি পদক্ষেপ নেন। সেখানে পুকুর ভরাট যে হচ্ছিল তা সাথে সাথেই তিনি বন্ধ করিয়ে দেন। রীতিমতো ওই পুকুরের চারপাশে টিনের চালা লাগিয়ে ভরাট হচ্ছিল পুকুরটি। আর খবর পাওয়া মাত্রই তিনি তা বন্ধ করে দেন এবং বীজপুর প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন।
অন্যদিকে হালিশহর তিন নম্বর ওয়ার্ড সরকারপাড়া সংলগ্ন একটি পুকুরও প্রকাশ্যেই ভরাট হয়ে চলছিল। সেই বিষয়েও অবগত হন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।
ওই পুকুরের ভরাটের কাজও তিনি সাথে সাথে বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হালিশহর পৌরসভা এবং বীজপুর পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন এবং আগামীতে যাতে হালিশহর তথা বীজপুরের কোন পুকুর ভরাট না হয় সেই জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং দুই নগর প্রশাসনকে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।