অবতক খবর,১লা ডিসেম্বর: গত ৩০শে নভেম্বর হালিশহর ৮ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন ভাগাড়ের জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে বীজপুর পুলিশ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রথমে মৃত যুবকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও জানা গেছে মৃত যুবক বর্ধমান ধানতলা কাঞ্চন নগরের বাসিন্দা মিলন খা।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বছর কুড়ির এই যুবক প্রেমের টানে সুদূর বর্ধমান থেকে ছুটে আসে হালিশহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে হালিশহরের এক গৃহিণীর সাথে প্রেম চলছিল মিলনের। হালিশহর লক্ষীনারায়ন পল্লীর বাসিন্দা সৌমিত্র হালদারের স্ত্রী সোনালী হালদারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মিলনের। কিন্তু ঘটনাচক্রে সোনালীর স্বামী সৌমিত্র এই সম্পর্ক বিষয়ে জানতে পারে।
ফলত, সৌমিত্র মিলনকে দীর্ঘদিন ধরে ফোনে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা যেন এই সম্পর্কের ইতি টানে। কিন্তু গত ২৬শে নভেম্বর মিলন হালিশহরে আসে সোনালীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। আর সেখানেই হয় বিপত্তি,সেই দিনই অর্থাৎ ২৬শে নভেম্বর রাতে মিলনকে খুন করে সৌমিত্র এবং স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাগাড়ের সেপটিক ট্যাংকে তার মৃতদেহ ফেলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ফোনের সূত্র ধরেই মৃতদেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে সৌমিত্র এবং তার স্ত্রী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বীজপুর থানার পুলিশ।