অবতক খবর,১২ আগস্ট: বিজপুর অঞ্চলে যুব শক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিয়ে আসতে আজ তৃণমূল দলের আয়োজনে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল হালিশহর লোকসংস্কৃতি ভবনে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী প্রমুখ।
যুব শক্তি নামে একটি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে, যার মূল নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব শক্তির ভূমিকা কি? তার কাজ কি? জনসংযোগে তার ভূমিকা কী হবে? সেই ভূমিকা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক? এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন দেবরাজ চক্রবর্তী এবং পার্থ ভৌমিক।
এই যুব শক্তির মূল উদ্দেশ্য হল,অরাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি রূপয়ণ করা। যুব শক্তির সদস্য তিনি তৃণমূল করতে পারেন বা তৃণমূল বিরোধী অন্য কোন দলের কর্মী হতে পারেন কিন্তু দেখতে হবে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে তার সক্রিয়তা আছে কিনা। যুব শক্তির সদস্য যারা হবেন, তাদের মধ্য থেকে ১০ জন করে বাহিনী তৈরি হবে। তারা ওয়ার্ডের বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবেন।
রাজ্য সরকার পরিচালিত যে সমস্ত প্রকল্প ও পরিকল্পনাগুলি রয়েছে সেই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন কিনা অরাজনৈতিকভাবে ,তারা যে কোন রাজনৈতিক দলের হোক না কেন সেটা কোন বিবেচ্য নয়। নিবিড় গণসংযোগ করার জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর রিপোর্ট উচ্চস্তরের পৌঁছবে। সেইখানেই নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। অর্থাৎ যুব শক্তির সদর দপ্তরে গিয়ে রিপোর্ট পৌঁছাবে যার নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, আগামী যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি রূপায়ণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল দল যুব শক্তির মাধ্যমে। এতে জনসংযোগ তৈরি হবে এবং যে প্রকল্পগুলি থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সেই প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে জয়লাভ করার একটি কৌশল।