অবতক খবর,১৫ ডিসেম্বর: সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্না মঞ্চে আজ যাদেরকে নিয়ে এই ধর্না মঞ্চ হয়েছে সেই কৃষকরাই আজ সেখানে যায়নি। শুধু তাই নয় বিজেপির প্রথম সারির নেতা সিঙ্গুরের সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জেনি মাস্টারমশাই নামে খ্যাত তাকেও আমন্ত্রণ করেনি এই বিজেপি ধর্না মঞ্চে। সিঙ্গুরের কৃষক ভাইয়েরা যারা ইচ্ছুক কিংবা অনিচ্ছুক সেই চাষি ভাইদের দেখা মেলেনি ধর্না মঞ্চে। তবে এই দিন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকলেও ছিলেননা হুগলি জেলার বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি।
মঙ্গলবার আজ সেখানে ধর্না মঞ্চে সময় ছিল সাড়ে দশটা কিন্তু দেখা গেল দুপুর দেড়টা নাগাদ তখনো কোন শিমুলের কৃষক ভাইদের ধর্না মঞ্চে দেখা যায়নি। প্রথম থেকেই ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তিনি সাহেবগঞ্জ থেকে মিছিল করে টাটা জমির গেটের সামনে তারা আসেন তবে মিছিলের লোকজন ছিল খুবই সীমিত।
সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বেশিরভাগই ছিলেন। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ মহাশয়, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পাল, রাকেশ সিনহা, রাজ্য কিষান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ও জেলার নেতারা। বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সিপিএমের ধাঁচেই সিঙ্গুর থেকে টাটা চলে যাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য শুরুতেই কৃষকদের অন্নদাতা বলে সম্ভাষণ করেন।
তিনি কৃষকদের কথা তুলে ধরলেও সেই ভোট ময়দানের মতন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করতে ছাড়েননি। যেহেতু কৃষক ভাইদের উপস্থিত একদম কম ছিল এবং প্রায় ফাঁকা ছিল সেতু দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য নেতারা কলকাতা কর্পোরেশনের পুরভোট নিয়ে তারা বক্তব্য দীর্ঘায়িত করে নি। এইটুকু বলা যায় আজকে বিজেপির ধর্না মঞ্চে প্রথম দিন একদম ফ্লপ হয়েছে।