অবতক খবর: হৃদযন্ত্রে সমস্যার কথা জানিয়ে নিয়োগ মামলায় জামিন চাইলেন ইডির হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। ধৃতের আইনজীবী সেলিম রহমান জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণের ধমনীতে তিনটি ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়েছে। ‘বাইপাস সার্জারি’ করা হতে পারে তাঁর। সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা কী, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
গত ১৭ জুলাই প্যারোলের মেয়াদ শেষের পর সুজয়কৃষ্ণকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরানো হয়। জেলে ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিনই ভর্তি করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সদ্য সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে মৃত্যুর সময় স্ত্রীর কাছে থাকতে পারেননি সুজয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থাতেই স্ত্রী বিয়োগের খবর পেয়েছেন তিনি। তারপর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে সুজয়কে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পাশাপাশি ‘কালীঘাটের কাকু’র জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছিল আদালত।