পেটে ভাত নেই,হাগু হবে কেমন করে কিন্তু শৌচাগার প্রকল্প চলছে। আরো কতো সব প্রকল্প! প্লাস্টিক বর্জন, ডেঙ্গু রোধে, বৃক্ষ রোপনের প্রচার চলছে। মন্দিরার প্রেমিক দেখছে কর্মসংস্থানের কোনো প্রচার নেই
হ্যালো! মন্দার
তমাল সাহা
মন্দিরা শুনছো!
কে যেন গানটা লিখেছিল–
পেয়ে গেছি আমি চাকরি।
ওদের তো এখন দেখিনা পার্কে-পথে
ওরা চড়েছে কি সত্যি চাকরির রথে!
কোথায় পেয়েছে চাকরি–
তা গানে বলা নেই।
সিঙ্গুরের কারখানাটা ভেঙে পড়লো যেই
নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব গেল আটকে
উইপ্রো ইনফোসিস গেল হাটকে
মন্দিরার প্রেমিক আর গান গায়না।
দেখছে দাড়ি কাঁচাপাকা বাড়ছে
পলেস্তারা খসা দেয়ালে ঝুলন্ত আয়না।
মন্দিরার প্রেমিকের সঙ্গে
দেখা হয়েছিল কাল
বলল, বানতলায় চর্মনগরী হবে,
হবে পাঁচ লক্ষ চাকরি।
তবুও পেয়েছি তো একটু আশা
হোক না তা ভাসা ভাসা।
কাটমানির খোঁজে বেরিয়েছি
আগে থেকে করে রাখি জোগাড়।
মন্দিরা তো দূরের কথা!
জীবনটাই কেটে যাবে বেগার।
বলি তাকে ডেকে
রাজনীতি নির্ভর এই দেশে
তুমি লেখাপড়া জানা ছেলে
দলে ঢুকে পড়ো অবশেষে।
এটাই এখন সবচেয়ে বড় পেশা
পুলিশ পয়সা পেশী পিস্তল—
অপূর্ব এক নেশা।
সব এসে যাবে নিজে নিজে
তুমি তো তখন নেতা।
কে না চিনবে তোমাকে
কুচবিহার থেকে কলকাতা।
দাদা! মন্দিরা-দি পাঠিয়েছেন
বিষয়টি একটু দেখবেন—
কী চরম আকুতি!
কোন্ মন্দিরা!
তখন তো হাজার মন্দিরা বাজে
সকাল বিকেলে অপূর্ব আরতি।
হ্যালো! হ্যালো! মন্দার!
কোন ডায়ালে ফোন করছো মন্দিরা?
এখন তো মন্দারের অসংখ্য ডায়াল!
কত মন্দার ডালে ডালে ফুটে লালে লাল।
ওহে মন্দিরা! করো নি খেয়াল?
মন্দিরা ডেকে ডেকে তোলপাড়
হ্যালো! মন্দার হ্যালো!
শোনো, শোনো একটিবার!
এখন একদম সময়…য় নেই ছাড়ো
পার্টি-প্রোমোটার বসে আছে চেম্বারে
বাইরে জনতার দরবার!
ঋতুর মতো ঋতু চলে যায়…
দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়ে
হ্যালো! হ্যালো মন্দার!