অবতক খবর, মালদা: ১০০ দিনের প্রকল্পে কলা চাষে হার্টিকালচার প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। মালদা চাঁচল-১ ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর ও ভেবা এলাকার ঘটনা। সোমবার দল বেধে ১০ জন উপভোক্তা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রধান ও পঞ্চায়েতের এক সদস্য উপভোক্তাদের প্রাপ্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন প্রধান। হরিপুর বুথের মেম্বার বেনজির খাতুন ও অবশ্য অস্বীকার করেছে এই দূর্নীতিতে। চক্রান্ত চালাচ্ছে গ্রামের কয়েকজন যুবক। তারা তাদের সব কিছু পেয়েও এমনটা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। দুর্নীতি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্যানপালন বিভাগে কলাচাষ করে বাসিন্দারা যাতে স্বনির্ভর হন। সেজন্য এমজিএনআরিজিএস প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি সব মিলিয়ে বরাদ্দের পরিমান সাড়ে তিনলক্ষ টাকা। তার মধ্যে গাছের চারা, সার, নিড়ানি, জমিতে বেড়া দেওয়া, জলসেচ সহ শ্রমিকের খরচ রয়েছে। ওই প্রকল্পে হরিপুরে আটজন ও ভেবা এলাকায় দুজন উপঙোক্তা রয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে উপভোক্তাদের কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি। গাছের চারা, সার, সেচের জন্য টাকা চাইলে তাদের তা নিজেই কিনে লাগাতে বলা হয়। পরে তাদের টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু বাসিন্দারা চারা লাগানোর পর নিজের খরচে জমিতে বেড়া দেওয়া সহ সার, সেচের কাজ করছেন। তারপর টাকা চাওয়া হলে তিনজনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে জানানো হলেও তা দেওয়া হয়নি। টাকা না মেলায় অর্থাভাবে চাষ করতে না পারায় সেই গাছও শুকিয়ে মরে যেতে বসেছে। তবে প্রকল্পের সাইন বোর্ড জমিতে ঝক ঝক করছে। এই পরিস্থিতিতে উপভোক্তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে চাষ পুরোপুরি না হলেও পৌণে দুলক্ষ টাকা করে প্রকল্পে খরচ দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রধানকে বিষয়টি জানানোর পর কোনও গুরুত্ব না দিয়ে উল্টে তারা যা খুশি করতে পারেন বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ১০ উপভোক্তা এদিন দলবেধে বিডিওর দ্বারস্থ হন।
হরিপুরের উপভোক্তা গোবিন্দ দাস বলেন, কলাগাছের চারা লাগানো থেকে বেড়া দেওয়া, সার, সেচ সব নিজের টাকায় করেছি। একবার সার দেওয়া ও আট হাজার টাকা ছাড়া কিছু পাইনি। টাকা না মেলায় জমিতে গাছ মরে যাচ্ছে।
ভেবা এলাকার উপভোক্তা আজিমুদ্দিন বলেন, আমি মাত্র ৪৫ জন শ্রমিকের কাজের টাকা পেয়েছি। কিন্তু আমার প্রকল্পে কাজ হয়েছে দেখিয়ে ৫৩ ৭জন শ্রমিকের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান সাবিনা পারভীন বলেন, প্রধান শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকাই সাংবাদিক দের মুখোমুখি হতে পারেনি। বদলে উপপ্রধান সৈয়দ আরিফকে ধরা হলে তিনি জানান কলাচাষ খুব ভালো হয়েছে। টাকাও দেওয়া হয়েছে। কেন ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে জানি না।