অবতক খবর,২৫ মার্চ: একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই এই ১২-১৩ বছরে ভাগারগুলো হয়নি। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জঞ্জালের পাহাড় জমেছে। সেই জঞ্জালের পাহাড় থেকেই ধ্বস নামছে।
ভাগাড়ের পাশে যাদের বাড়ি রয়েছে তারা জবরদখল করে আছে। ভাগাড়ের জমির উপরেই তারা বসবাস করছে। সেই জায়গায় কোন সলিড মাটি নেই। বাউন্সি ল্যান্ড।
তবুও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গরিব মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য। আমরা ভবিষ্যতে বাংলার বাড়ি তৈরির প্রকল্প নেব। তবে এখনই ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করে দিলে আবার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অস্থায়ীভাবে কাছাকাছি কি করা যায় সেই নিয়েই আজকে বৈঠক আছে।
আর যারা নাটক করতে যাচ্ছেন। তাদের বলি এখানে এবং আসানসোলে এসব জায়গায় ১০০ ২০০ বছরের সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রী আদেশ দেওয়ার পরে আমরা বায়োমাইনিং স্টার্ট করেছি। বায়ো মাইনিং করতে টাইম লাগবে। আমার কাছে ম্যাজিক স্টিক নেই যে আজকে বলবো ভ্যনিশ। কালকে ভাগাড় গুলো ভ্যানিশ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা করতে সময় লাগবে। ৩-৪ বছর অন্তত সময় লাগবে। যেমন কলকাতার ধাপা তে হচ্ছে।
মানুষ যদি সঙ্গে থাকে এবং সেগরিকেটেড আবর্জনা পুরসভার কর্মীদের দেয় সেটা কলকাতা এবং হাওড়া সব জায়গাতেই তাহলে সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে শুকনো আবর্জনা থেকে আর এন ডি করে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও পাওয়ার প্লান্টে পাঠাবো। ভেজা আবর্জনা থেকে সিএনজি গ্যাস ও সার তৈরীর প্রকল্প।
যে কাগজ বললে আনন্দ হয় সেখানে মিথ্যা খবর ছাপা হয়েছে আমার নামে। আমি কোন বিক্ষোভের মুখে পড়ি নি। আমাকে ভাই বোনের মতো দাবি জানা ছিল। আমি ওদের কথা শুনতে গিয়েছিলাম। আজ ওদের পনেরো বছর নিয়েই আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গ শুভেন্দু
যারা ভাগাড়ে চলে যায় তারাই এই ধরনের মন্তব্য করে। কারণ এদের বেশ নেই। কখনো হিন্দুত্ব নিয়ে লাফাচ্ছে কখনো ভাগাড় নিয়ে লাফাচ্ছে । মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনের ফল্ট কি আছে সেটাই ওরা ধরতে পারছে না এখানে ধর্মীয় বিভাজন হবে না।