অবতক খবর: রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ১০০ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর বলে কার্যত মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রতি বুথেই থাকছে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও একজন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। এছাড়াও থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করবে সিভিক পুলিশ।
এর পাশাপাশি এবারই প্রথম প্রতি বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিং। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁরা পরিচালনা করবেন ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। যদিও অসমর্থিত সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কমিশন জানাচ্ছে পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
খুব স্বাভাবিক ভাবে এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে নির্বাচনের আগেই যদি এই পরিস্থিতি হয় তাহলে নির্বাচনের দিন কোন পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশন সূত্রে খবর, ৩৫০ কোটি টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কারণ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর পিছনে যে খরচা হবে তার জন্য এই টাকা চাওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
হাতে মাত্র আর ২৪ ঘণ্টা, তারপরেই বাংলার পঞ্চায়েতে আগামী পাঁচ বছরের ক্ষমতা কে দখলে রাখবে তার লড়াই শুরু হয়ে যাবে। আর এখানেই দেখার বিষয় একটাই, রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কে যথাযত মর্যাদা দিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ এবং রক্তপাতহীন নির্বাচন করাতে সক্ষম হয় কিনা।