১৪ জুলাইঃ ভাঙো বাস্তিল
তমাল সাহা
সেই কবে থেকে আসছি শুনে
রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি চাই—
স্লোগানে স্লোগানে আকাশ ভারী
ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড জমায়েত
ঊর্ধ্বে মুষ্টি তুলে শুধু আওয়াজ ছাড়ি।
ইস্যুভিত্তিক আমাদের লড়াই—
কেন নয় লাগাতার অবিরত?
রাষ্ট্র নিশ্চুপ।
আমাদের আওয়াজে নয় ক্ষতবিক্ষত।
রাষ্ট্র বলে, যত জোরে পারিস কর চিৎকার!
রাজধানীতে ঐতিহাসিক কৃষক সংগ্রাম—
ময়দানে চুপ করে বসে থাক।
আমি বেশ আছি নির্বিকার!
দেখি, তোদের কোমরে কত জোর
অমানিশা কেটে কবে আসে ভোর!
দলিত নিপীড়ন চলছেই
জেলখানায় অত্যাচার, হেফাজতে খুন।
গলা ফাটানো প্রতিবাদ সে আর কতক্ষণ!
ঘামের সঙ্গে ঝরে যাবে নুন।
আরে তোরা ইতিহাস ভুলে যাস নাকি!
পড়াশুনোয় এতো ফাঁকি?
চৌদ্দ জুলাই বাস্তিল দুর্গ দখল করেছিল কারা?
সে তো লড়াকুরা, সাধারণ মানুষ তারা!
উত্তাল জনতার বাস্তিল দখল,
ভেঙে চুরমার সব পাহারা
আগুন ঢেলে দিল আকাশের সমস্ত তারা
বন্দীদের আনলো ছিনিয়ে।
হাজার হাজার মানুষ গাইলো শিকল ভাঙার গান–
সে এক দুর্ধর্ষ ঐতিহাসিক অভিযান।
এবার নিজেদের কব্জির দিকে চেয়ে দ্যাখ
সেখানেই লুকিয়ে
হিম্মৎ দুঃসাহস স্পর্ধা শক্তি।
ভেঙে ফেল লৌহ কপাট বন্দীশালা
ছিনিয়ে আন বন্দীদের
বাতাসে উঠুক উল্লাসের জোয়ার,
আনন্দে নাচুক মুক্তি।
এসো,হাত ধরো, প্রতিরোধ গড়ো
মনে পড়ে সেই স্লোগান জনতার প্রাণের আর্তি–
‘স্বাধীনতা সাম্য মৈত্রী’।