অবতক খবর,৯ জানুয়ারি: প্রতিদিন দেশে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় দেশজুড়ে চলছে করোনার (Corona) তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ৫ রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা এবং গোয়ায় ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।
অতিমারির চূড়ান্ত পর্যায়ে এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, কোভিডের কারণে ভোটের নতুন গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। ঝঞ্জাটবিহীন ভোট করানোয় জোর দেবে নির্বাচন কমিশন। শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচন করতে হবে। সেজন্য একাধিক নিয়ম বলবৎ করা হচ্ছে।
১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা এবং গোয়ায় সমস্ত ধরনের রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল ব়্যালি, জন সভাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভার্চুয়ার ব়্যালি করতে হবে। ১৫ জানুয়ারির পর দেশের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বিচার করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রতি প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রে করোনাবিধি মেনে চলার কথা উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া কোভিডবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য আলাদা টিম তৈরি করবে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ভোটের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তিকে টিকার দুটো ডোজ নেওয়া হতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে দেখা হবে। প্রয়োজন তাঁদের বুস্টার ডোজও দেওয়া হবে। ৫ রাজ্যে প্রায় ১৬ শতাংশ পোলিং স্টেশন বাড়ছে। ১৫০০ বদলে পোলিং স্টেশন প্রতি ১২৫০ জন করে ভোটার থাকবে। এমনকী ভোট গ্রহণের সময়ও ১ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। পোলিং বুথে কোভিডবিধি মানা ব্যতামূলক। মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনলাইনে মনোনয়ন জমা করতে পারবেন প্রার্থীরা।
কমিশনের কঠোর নির্দেশ, ভোট প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। জাতীয় এবং আঞ্চবিক রাজনৈতিক দলগুলোকে কমাতে বলা হয়েছে স্টার প্রচারকের সংখ্যা। ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করতে হবে স্টার প্রচারকের সংখ্যা। ফলাফল ঘোষণা হলে বিজয় উৎসব নিষিদ্ধ। সার্টিফিকেট নিতে যাওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ জন থাকতে পারবেন। নিয়ম ভাঙলে কঠোর শাস্তিরও নিদান দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট। মণিপুরে ২ দফায় ভোট। গোয়া, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে এক দফায় ভোট। ফলাফল ঘোষণা ১০ মার্চ।