অবতক খবর,১৩ জানুয়ারি,নদীয়া: ভ্যাক্সিনেশন পোর্টালে ২০০৭ সাল সেট করা থাকায় নদীয়ার শান্তিপুরে অধিকাংশ স্কুলে ১৫ বছরের কম বয়সী ছাত্র-ছাত্রী কয়েকজনকে ভুল করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্কুল সহ সব মহলেই হইচই পড়ে গিয়েছে। মূলত শান্তিপুর পৌরসভা ও মহকুমা স্কুল পরিদর্শক অফিসের নির্দেশ মত নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয় ৩ জানুয়ারি থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাদানে আহবান জানানো এবং বিদ্যালয়ের উপযুক্ত একটি ঘর ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া ছাড়া বাকি কোন কাজই তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না কে বেশি পাবে কার বয়স কত তা দেখার দায়িত্ব আগত সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের। নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা ভ্যাকসিন পেলেও যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে তাদের জন্ম তারিখ খতিয়ে দেখে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি এমনটাই দাবি অভিভাবকদের। তবে এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান প্যানিক না করলে তেমন ক্ষতি হবে না কিছুই। কিন্তু অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা, ক্ষতি নয় নাই হলো, কিন্তু উপকার হবে কতটুকু? শিশুদের আর প্রাপ্ত বয়স্কদের ডোজ আর একই হতে পারে না।
তবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এটা ভুল, তিনি খতিয়ে দেখছেন বিষয়টি।
আগত টীকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের আধিকারিকের সাথে কথা বলে সামগ্রিক দায়িত্বে থাকা শান্তিপুর পৌরসভার সর্বময় কর্তা প্রশাসক সুব্রত ঘোষ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছি, অতিসত্বর তারা উত্তর জানাবেন।
কিন্তু গত দশ দিন ধরে শুধু শান্তিপুর নয় জেলা এবং রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ১৫ বছরের কম বয়সী ছাত্র ছাত্রী অধিকাংশই ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছে। ওইসব ছাত্র-ছাত্রীর বাড়ির লোকজন না বুঝেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েছিলেন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। সঙ্গে তারা নিয়ে গিয়েছিল আধার কার্ড।
তাদের জন্মের বছর ২০০৭ সাল উল্লেখ ছিল। আর সেই কার্ড দেখাতেই জন্মতারিখ খতিয়ে না দেখে তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে,আই সি এম আরের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। তাদের অ্যাপ্রুভাল নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ১৫ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন না দেওয়াই ভালো।যদিও পোর্টালে ২০০৭ সাল সেট করা থাকলেও জন্মতারিখ খতিয়ে না দেখে ১৫ বছর কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।