অবতক খবর,৭ ডিসেম্বরঃ বৈদ্যবাটী ডানকুনি খাল বিস্তীর্ণ প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেশ কয়েক দশক পরে হুগলির শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ডানকুনি বৈদ্যবাটি খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর । খরচ হচ্ছে ১৮ কোটি টাকা তবে গোবর ও জবরদখলের সমস্যা না মিটলে সংস্কারে কতটুকু লাভ হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খাল বৈদ্যটি গঙ্গা থেকে বেরিয়ে ডানকুনি হয়ে বালিখালে ফের গঙ্গার মিশেছে থেকে মিল্কি বাদামতলা পর্যন্ত “এটা বৈদ্যবাটি খাল” নামে পরিচিত তারপরে হয়েছে ডানকুনি খাল ।স্থানীয় এক চাষী জানান একসময় স্বচ্ছ জলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন ক্ষেতে খালের জল দেয়া হতো পরে কলকারখানা, ঘর বাড়ি বজ্র পদার্থ ফেলার জায়গা হয় এই খাল তার উপর ডানকুনির বিভিন্ন খাটালের গোবর আসে পর্ত সেই খালে। ফলতো খাল ভর্তি হয়ে গোবরের নদীতে পরিণত হয়।
বহু দশক পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাল পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু সেখানেও রয়েছে সমস্যা, অভিযোগ দিল্লি রোডের পূর্ব দিক থেকে গঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার খাল লাগোয়া সরকারি জমি দখল হয়েগিয়েছে সেই জবরদখল মুক্ত না হলে খালের জল গঙ্গায় নাবতে পারবে না সংকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাবে ।
এবিষয়ে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সদস্য নেহাংশ মাহাতো জানান জনগণের বৈদ্যবাটী খালের বেশিরভাগ অংশই দখল হয়ে যাচ্ছে বহু চাষী বহু পারিবার প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে তাদের জমিতে জল ঢুকে যাচ্ছে তাদের ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে এতদিন পরে সংসার হচ্ছে সেটা খুবই ভালো উদ্যোগ কিন্তু জনগণের করের টাকায় যে সংস্কার হচ্ছে। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ না করলে সবই বৃথা যাবে। তাই আগে এদিকে নজর দেওয়া উচিত। এবিষয়ে চাপদানি বিধায়োগ অরিন্দম গুইন জানান বেশ কিছুদিন হলো খালের কাজ শুরু হয়েছে বৈদ্যবাটির যে অংশে জবর দখল করি আছে সেটাও সরকারেরই জমি তাই পরবর্তীতে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবে সেই মতোই কাজ করা হবে।