অবতক খবর,২০ ডিসেম্বর : ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে পৌঁছলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ। এই মুহূর্তে এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত রয়েছেন জ্যাকুলিন। এদিন জ্যাকুলিনের সঙ্গে আদালতে পৌঁছোন তাঁর আইনজীবী। সম্প্রতি, এই মামলায় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে (জেলা দায়রা আদালত) ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন অভিনেত্রী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জ্যাকুলিনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। এদিকে ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলা ছাড়াও সম্প্রতি আরও একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ।
জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নোরা ফাতেহি। তবে শুধু জ্যাকুলিন নন, এই মানহানির মামলায় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের নামও এনেছেন নোরা। তবে মূল অভিযুক্ত হিসাবে জ্যাকুলিনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। নোরার দাবি, ‘আমাকে কলুষিত করতে আর খুব নোংরা কিছু কারণে আমার নামে মানহানিকর কিছু তথ্য দিয়েছে জ্যাকুলিন’। এমনকী নোরার দাবি, তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল জ্যাকুলিন। নিজের স্বার্থে নোরার বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন জ্যাকুলিন। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি বাধ্য হয়েই এই মামলা করেন।
এদিকে জ্যাকুলিনও পিএমএলএ আদালতে একটি অভিযোগ জমা করেছেন, যে অভিযোগপত্র লেখা আছে, ‘ইডি জ্যাকুলিনকে মিথ্যে ফাঁসাচ্ছেন, যেখানে তিনি ছাড়াও নোরা ফতেহির মতো আরও কিছু সেলেব সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে বহুমূল্যের উপহার পেয়েছে। তার সাক্ষীও আছে।’ আর সেই অভিযোগ নোরা ফতেহি নস্যাৎ করে দেন। তিনি দাবি করেছেন, সুকেশের সঙ্গে সরাসরি তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। এমনকী তার থেকে কোনও উপহার নেওয়ার অভিযোগও উড়িয়ে দেন অভিনেত্রী। তবে নোরা ফতেহি জ্যাকুলিন ছাড়াও একাধিক মিডিয়া হাউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। নোরার দাবি জ্যাকুলিনের উস্কানিতেই সেইসব মিডিয়া হাউজগুলি নোরাকে হেনস্তা করেছে।