অবতক খবর,১৬ জানুয়ারি: হালিশহর ৫ নম্বর ওয়ার্ড ফাঁসিতলা সংলগ্ন কালিবাড়ি থেকে একটু এগোলেই একটি ছোট ডোবা দেখা যেত। দীর্ঘ বছর সেখানে ডোবাটি ছিল। ২০১৯ সালে জমি মাফিয়ারা এই ডোবাটি যখন ভরাট করছিল তখন অবতক-এর খবরের জেরে সেই ভরাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ফের সেই মাফিয়ারা জেগে উঠেছে। তারা আবার ওই ডোবাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে। আজ দেখা গেল ডোবাটি প্রায় ভরাট করে ফেলেছে জমি মাফিয়ারা।
তবে বর্তমানে সেটি কার জমি,কে ভরাট করছে তা এখনও জানা যায়নি। ২০১৯ সালে যখন আমরা সংবাদ পরিবেশন করে ছিলাম তখন সেটি কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ী অশোক মালাকারের জমি ছিল। ওই সংবাদের পর থানা প্রশাসনিক অশোকবাবুকে ডোবা ভরাটের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল এবং যাবতীয় নথিপত্র দেখাতে বলেছিল। সাময়িকভাবে সেই কাজটি বন্ধ হয়ে গেলেও আজ দেখা গেল ডোবা ভরাটের কাজ চলছেই।
এরপর আমরা অনুসন্ধান চালাই এবং অশোকবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
স্থানীয় মানুষের চোখে পড়তেই বিষয়টি তারা পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর বাসুদেব বাবুকে জানান।
বিষয়টি নিয়ে বাসুদেব বাবুর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দুদিন ধরে ওই ডোবা ভরাট ফের শুরু হয়েছে।
শুধু তাই নয় এই বিষয়ে আমরা হালিশহর পৌরসভার পৌর প্রশাসক রাজু সাহানীকে অবগত করেছি।
তিনি বলেন,বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি সত্যিই ডোবাটি কেউ ভরাট করে থাকেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে বাসুদেব বাবু আরো বলেন, কোন জলাশয় ভরাট করতে গেলেও জলাশয়ের সঠিক নথিপত্র থানা প্রশাসনকে দেখাতে হবে। কিন্তু এরপরেও কতগুলি পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতি অনুসরণ করে উচ্চ আধিকারিকরা ঠিক করবেন যে সেই জলাশয় ভরাট করা যাবে কি যাবে না। তবে ওই যে জলাশয় ভরাট হচ্ছে তার মালিক কে? আর কারাই বা ভরাট করছে তা এখনোও জানা যায়নি। এর পাশাপাশি বাসুদেব বাবু এও জানান যে, কোন নথিপত্রও তার কাছে আসেনি। তিনি উল্লেখ করেন, যদি ওই জলাশয়ের নথিপত্র সব ঠিক থাকে তবে রাতের অন্ধকারে কেন সেটি ভরাট হচ্ছে? দিনে করা হচ্ছে না কেন? তবে বাসুদেব বাবুর হস্তক্ষেপে আপাতত ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে।