অবতক খবর,১০ জুন: উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুমোর খোলা গ্রামের বিধবা মহিলা চন্দনা রায় দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে কলকাতাতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালায় । ১ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক মহিলা সুশীলা বিশ্বাস মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন । আবেদনপত্র জমা করতে চন্দনার কাছ থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছিল সুশীলা । ২০ হাজার টাকা লোন পেলে সেই টাকার ব্যাংকে পরিশোধ করা লাগবে না বলে জানিয়েছিল সুশীলা । এবং সুশিলাকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছিল চন্দনাকে ।
চন্দনা রাজিও হয়েছিল । গত সোমবার চন্দনা রায় ও তার ভাই সৌমিত্র শিকদার ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে সুশীলার বাড়িতে টাকা দিতে গেলে সুশীলা ১৫ হাজার টাকার জায়গায় ১৬ হাজার টাকা দাবি করে । এবং চন্দনার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় । চন্দনা এবং ভাই সৌমিত্রকে মারধোর করে সুশীলা বিশ্বাস মেয়ে সুপ্রিয়া বিশ্বাস ছেলে সৌমিত্র বিশ্বাস । বাগদা থানায় চন্দনা ১০ হাজার ছিনিয়ে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চন্দনা । অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সুশীলা বিশ্বাস ও সুপ্রিয়া বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে ।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন সুশীলা বিশ্বাস বিজেপি কর্মী । মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা টাকা নিয়ে যা করেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করছি আমরা । পুলিশের কাছে অনুরোধ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক ।
সুশীলা বিশ্বাস বিজেপি কর্মী তা মেনে নিয়েছেন বাগদা দুইনাম্বার মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি হরষিত চন্দ্র বালা বলেন সুশীলা মন্ডল কমিটিতেও ছিল বর্তমানে নেই । তিনি ব্যক্তিগতভাবে যদি কি এই কাজ করে তার সাজা হওয়া উচিত । বিজেপি তো আর অন্যায় করতে বলেনি । নিজে অন্যায় করেছেন তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত ।