অবতক খবর,১৮ জুন,মলয় দে নদীয়া:- শহর পরিষ্কার রাখার নামে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ১০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের চৈতন্য পল্লী বিশ্ব সুখ পল্লী নন্দির মার কীর্তনের মাঠ দু’নম্বর কলোনি সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন শুধু তাই নয় কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত সরণি যা শহরের মধ্য থেকে বাগআচড়া গয়েশপুর এমনকি নবদ্বীপের ভাংগা যাওয়ার প্রধান এই পথে পথ চলতি সারাদিনে হাজারো মানুষের সমস্যা সারা বছরের।
এলাকাবাসী আজ সকাল থেকেই পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় তাদের দাবি বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত পরিত্যক্ত কিংবা মল নিষ্কাশনের পর তা এখানে ফেলার কথা থাকলেও বর্তমানে তার প্রক্রিয়াজাতকরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। ফলে হাসপাতালের পরিত্যক্ত নোংরা এমনকি মৃত শিশুর দেহাবসেশ গরু ছাগল কুকুর ভেড়া নানান গবাদিপশুর মৃতদেহ পর্যন্ত ফেলা হচ্ছে এখানে । যা পৌঁছে অত্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়ায় সারা বছর এখান থেকে যেতে গেলে রাস্তার উপরে পর্যন্ত পড়ে থাকে নানান নোংরা আবর্জনা যা শিশু বৃদ্ধ থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী প্রত্যেকে নাকে কাপড় দিয়ে যেতে হয়। আশেপাশের বাড়িতে কখনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে খেতে বসে যায় না এই গন্ধে এমনকি মাঝেমধ্যেই জ্বলে ওঠে আগুন ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে সেখানকার। এলাকাবাসীর দাবি বর্তমানে ময়লার মাঠ নামে এই জায়গা পরিচিত হলেও আগে প্রকৃতপক্ষে ফরেস্টের অধীনস্থ ছিল এই জায়গাটি। সেখানে আবর্জনা থেকে প্রক্রিয়াকরণের কথা থাকলেও তা আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি ফলে দিনের পর দিন পরিত্যাক্তর স্তুপ জমা হয়ে পাহাড়ে পরিনত হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় শান্তিপুর পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলরাম ঘোষ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উৎপল সাহা, তারা বলেন পৌরসভা র চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান কে জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষের কি দাবি তা শুনে আমরা তাদের জানাচ্ছি। তবে গ্রীন সিটি প্রকল্পের কাজ আপাতত থমকে থাকার কারণেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে না হলে পরিত্যক্ত জমা হওয়ার পরিস্থিতি থাকে না। তবে খুব শীঘ্রই তা আবারো শুরু হবে। তবে মানুষের সমস্যার কথা মেনে নেন জনপ্রতিনিধিরাও।