অবতক খবর , সুজিত , হুগলীঃ- ভ্যানিসিং কালি ব্যবহার করে চেক জালিয়াতির অভিযোগ! ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা প্রতরনার স্বীকার ডানকুনির ব্যবসায়ী। বালির বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাঁধুখা ডানকুনির স্টেশনের কাছে অ্যালুমিয়ামের ব্যবসা রয়েছে ।টাটা ক্যাপিটাল ফাইনান্স কোম্পানী থেকে তাকে ফোন করা হয় লোনের জন্য বলে দাবি তার।ব্যবসা বাড়াতে লোনের প্রয়োজন থাকায় গৌরাঙ্গ বাবু লোন এজেন্টকে তার দোকানে আসতে বলেন।

সুজয় চক্রবর্তী নামে এক যুবক আসে বলে অভিযোগ ।কয়েকটি ফর্মে সই করিয়ে দুটি চেক নেয় বলে ব্যবসায়ীর দাবি।অভিযোগ একটি ক্যানসেল চেক একটি প্রসেসিং চার্জের জন্য চেক নিয়ে নিয়ে যায় । ফর্ম আর চেক এজেন্টের পেন দিয়ে লেখে । চেকে সই নিজের পেন দিয়ে করেন গৌরাঙ্গ বাবু। পরদিন তার রাস্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের সেভিংস এ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা আরেকটি চেক থেকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেয় প্রতারক বলে অভিযোগ । মোবাইলে মেসেজ আসতেই গৌরাঙ্গ বাবু ডানকুনি ব্রাঞ্চে গিয়ে খোঁজ নেন ।

 

৪৮ হাজার টাকা তোলে রাজকুমার রায় নামে একজন । ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কলকাতার চিত্তরঞ্জন ব্রাঞ্চ থেকে এ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা হয় মধ্যপ্রদেশে স্বাক্ষি গুপ্তার নামে এক জনের । গৌরাঙ্গ বাবু এরপরেই ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানান। ডানকুনি থানা এবং চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেলেও লিখিত অভিযোগ করেন।প্রতারকের আই কার্ড মোবাইল নম্বর ছবি এবং ব্যাঙ্কের সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেল।

এসিপি সাইবার সেল মৌমিতা সেন বলেন,চেক প্রতারনার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সম্ববত ভ্যানিসিং কালি ব্যবহার করে লোনদানকারী সংস্থার নাম করে প্রতারনা করা হয়েছে। এটা একসঙ্গে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং সাইবার সেল তদন্ত করছে। কোন এ্যাকান্টে টাকা গেছে সেটা যখন জানা গেছে আশা করা যায় টাকা খুব শীঘ্রই উদ্ধার করা যাবে।