অবতক খবর,অনুপ কুমার মন্ডল,নদীয়া: ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দূর-দূরান্ত খাবারের জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাবার জন্য, খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ,রাস্তা আছে কিন্তু তা চলাচলের অযোগ্য। পিচ আছে কিন্তু পিচ উঠে গত বেরিয়ে তা কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। বারাসাত হয়ে ব্যারাকপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক নদীয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা পর্যন্ত অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। যা নিত্যদিনই লেগে রয়েছে দুর্ঘটনা। আবার কোন রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই রাস্তায় ধকল সামলাতে না পেরে রাস্তায় মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তায় এত বেহাল অবস্থা যে মোটরবাইক চালাতে বুক কাঁপে ওঠে । ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ী এবং বসবাসকারী কিছু মানুষ বলেন রাস্তাটি নামে শুধু ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তা সংস্কার করার করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের কোন মাথাব্যাথাই নেই। তার মধ্যে চলছে রাস্তা দুই ধারে সম্প্রসারণের কাজ এতে আরো বেহাল হয়ে গেছে রাস্তা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা এলাকাবাসী বলেন আমরা প্রতিদিনই দেখছি একটার পর একটা দুর্ঘটনা ।
শিলিগুড়ি থেকে দিল্লি সর্বত্রই যাওয়া যায় এই রাস্তা ধরে এবং সব রুটের বাস থেকে টেকার চলাচল করে প্রতিদিন। কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তায় ।এই রাস্তার দু’ধারে প্রচুর কল-কারখানা ও চোখে পড়ে ।এই বেহাল রাস্তা ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কল কারখানা গুলি।কল্যাণীর বিরহী দিকে গেলে দেখা যায় রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য দোকানপাট, বাজার থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড় উপচে পড়ে রাস্তা খারাপ থাকায় কোনো না কোনো সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে যায় ।এর ফলে বিপদের সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষদের।আবার এখন তো মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে যাকে চলতি কথায় বলে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। নানা সময়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ঘটার ফলে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভ দেখান। রাস্তা সরানোর দাবি ওঠে সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্যাচওয়ার্ক বা তাপ্তি মারার কাজ হয়।তারপর কয়েকদিন যেতে না যেতেই পরিস্থিতি আবার আগের মতনই হয়ে যায় ।অন্যদিকে চাকদা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা স্থানীয় মানুষ জানালেন ভাঙা রাস্তায় গাড়ি গেলেই ধুলো উড়ছে প্রবলভাবে।
আবার আশপাশের দোকানদাররা ও বলছে দোকান চালাতে সমস্যা হচ্ছে বছরের পর বছর এই পরিস্থিতি চললেও হাল ফেরার কোন লক্ষনই নেই। আবার কেউ কেউ বলছে মামাটি মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই রাস্তাঘাট পিচ অথবা ঢালাই রাস্তা করে দিয়ে বাংলাকে সোনার মুড়িয়ে দিচ্ছে তখন কেন্দ্রীয় সরকার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কে থামকে দিবার জন্য কি এই ষড়যন্ত্র। তবে এলাকার মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ যাই থাকুক না কেন কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতায় ভোগান্তি সাধারণ মানুষেরই।