করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানি কমে এসেছে। এমন ভাবনার উদ্রেক হওয়া মাত্রই খোঁজ মিলল আরও এক নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের। দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান মিলেছে সেই ভ্য়ারিয়েন্টের, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের যে নতুন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে তার জেরে সারাদেশে ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ফলে উদ্বিগ্ন দেশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নোভেল করোনা ভাইরাসের বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়ান্টের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। বৎসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকং-এ এই নতুন Covid-19 ভ্য়ারিয়েন্ট B.1.1529-এর একাধিক আক্রান্তেক পরিপ্রেক্ষিতে এই দেশগুলি থেকে আসা এবং ট্রানজিট করা সমস্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের “কঠোর স্ক্রিনিং এবং পরীক্ষা” করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অবতক খবর,২৬ নভেম্বর: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এক চিঠির মাধ্যমে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলেছেন, ‘এই ভ্যারিয়ান্টের উল্লেখযোগ্য উচ্চ সংখ্যার মিউটেশন রয়েছে আর তাই দেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর তার গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। যে যাত্রীরা ওই তিন দেশ থেকে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। জোর দিতে হবে নজরদারি এবং পরীক্ষায়। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।’
NICD জানিয়েছে যে এই নতুন করোনা ভাইরাসের রূপের নাম হল B.1.1.529। দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার NGS-SA-এর সদস্য সরকারি পরীক্ষাগার এবং বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলিকে অবিলম্বে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দিয়েছে। যাতে জানা যায় এই ভেরিয়েন্টটি কতটা ছোঁয়াচে, কতটা বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর।
উল্লেখযোগ্যভাবে এই প্রজাতির হাই মিউটেশন রয়েছে বলে জানা গেছে এবং তা দেশের জন্য গুরুতর জনস্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, বিশেষত এমন সময়ে যখন ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শুরু হচ্ছে তখন সংক্রমণের মাত্রা আরও বেশি।