অবতক খবর,২৩ সেপ্টেম্বর: নিজের বাড়ির স্বপ্ন কার না থাকে। কিন্তু এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে জমি কিনে সাধের বাড়ি তৈরি করা মধ্যবিত্তের কাছে আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মতো। তাই সাজানো গোছানো দু’কামরার ফ্ল্যাটই শেষ আশা ভরসা। তবে ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে ফ্ল্যাটের সেল এগ্রিমেন্টকে ঘিরেই বিপত্তি।

২০২১ সালে এম এস ত্রিদেভ পি কনস্ট্রাকশন নামে এক কোম্পানির মালিক প্রণয় সরকারের সাথে ফ্ল্যাটের সেল এগ্রিমেন্ট হয় শীর্ষ রায় নামে নিমতা সারদাপল্লী এলাকার এক বাসিন্দার। সেই চুক্তি অনুযায়ী এক ব্যাংকের চেক এবং অনলাইন নেট ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে তিন লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কোম্পানির মালিক আলিপুর ফার্স্ট লেন এলাকার বাসিন্দা প্রণয় সরকারকে। পরবর্তীতে যখন উক্ত ফ্ল্যাটের প্রজেক্ট তৈরির কাজ অন্য এক প্রোমোটারের হাতে হস্তান্তর হয়ে যাওয়ার খবর পান তখন সে বিষয়ে অবগত না থেকে কারণ জানতে গেলে হেনস্তা শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ শীর্ষ রায়ের।

নিম তার সারদা পল্লী এলাকার বাসিন্দা শীর্ষ রায়। যিনি এক বেসরকারি কোম্পানির সামান্য এক কর্মী। পরবর্তীতে তিনি যখন ফ্ল্যাটের সেল এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী এম এস পিদেভ কনস্ট্রাকশন এর মালিক প্রণয় সরকারের সাথে কথা বলে নিজের পাওনা টাকা চাইতে যায় সেখানে ফেরত পান এক লক্ষ টাকা।। অথচ বাকি থাকা ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা আজও পাননি বলে অভিযোগ শীর্ষ রায়ের। সেই টাকা চাইতে গেলে, প্রানে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ কোম্পানির মালিক প্রণয় সরকারের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার পাওনা টাকা দু বছর ধরে না পেয়ে প্রশাসনের কাছে দারস্ত হন।

গোটা অভিযোগ অস্বীকার কোম্পানির মালিক প্রনয় সরকারের বাবা পিনাকি সরকারের। কোনরকম কুরুচিকর মন্তব্য থেকে শুরু করে হুমকি। এই সমস্ত কিছুই আমাদের পক্ষ থেকে কখনোই করা হয়নি শীর্ষ রায়ের সাথে। ব্যবসায় বিপুল লোকসানের জেরে আজ প্রায় দেউলিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছি বলে জানান পিনাকি সরকার।

বাকি প্রাপ্য টাকা কিছু মাস সময় এর ব্যবধানে ফেরত দিয়ে দেবো বলে আর্জি করেন এম এস পিদেভ কনস্ট্রাকশন এর মালিক প্রণয় সরকারের বাবা পিনাকি সরকার। গোটা বিষয় তদন্তের আশ্বাস প্রশাসনের।