অবতক খবর , সুজিত , হুগলি :- রুই,কাতলা,ইলিশ,ভেটকি,ভোলা ভেটকি,চিংড়ি কি নেই এই মেলায়।সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় এখানে।চুনোপুটি থেকে ৬০ কিলো পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়।

চৈতন্য মহা প্রভুর অন্যতম শিষ্য রঘুনাথ দাস গোস্বামী।তার বাড়িতেই বসে ৫১৪ বছরের পুরানো মাছের মেলা।হুগলির দেবানন্দপুরের কেষ্ট পুরে বসে এই মাছের মেলা।

একদিনের এই মেলাকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে বিভিন্ন দোকানিরা।মেলার সূত্রপাত হয় গোবর্ধন গোস্বামীর ছেলে রঘুনাথ দাস গোস্বামী বাড়িতে প্রত্যাবর্তনের পরই।জমিদারের ছেলে রঘুনাথ সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস নেই।দীর্ঘ ৯ মাস পর বাড়ি ফেরে সে।সেই আনন্দে বাবা গোবর্ধন গোস্বামী গ্রামের মানুষকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

গ্রামের মানুষ তার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কাঁচা আমের ঝোল ও ইলিশ মাছ খাওয়া আবদার করে।তিনি ভক্তদের বলেন বাড়ির পাশে আম গাছ থেকে জোড়া আম পেড়ে আনতে এবং পাশের জলাশয় থেকে জাল ফেলতে।

 

সেই অনুযায়ী জাল ফেলে জোড়া ইলিশ ও আম আনতেই অবাক হয়ে যান ভক্তরা।তাই থেকে প্রতি বছর ভক্তরা রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মাছের মেলার আয়োজন করে।সেই থেকেই পয়লা মাঘ উত্তরায়ন মেলা চলে আসছে।প্রায় ৫০জন মাছ ব্যবসায়ী পুকুর ছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ নিয়ে বিক্রি করে।

হুগলি ছাড়াও বর্ধমান,হাওড়া,নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও মানুষ এই মেলায় আসে।৬০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা কেজি মাছ বিক্রি হয়।শুধু মাছ কিনেই নিয়ে যায় না।অনেকেই পাশের আম বাগানে মাছ ভেজে পিকনিকের আয়োজনও করে নেয়।।