ফ্যাসিবাদ নয়া রূপে এসেছে। কণ্ঠস্বর স্তব্ধ এবং নাট্যোৎসব ভেস্তে দেবার সক্রিয় প্রচেষ্টা চলছে। এই ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব শাফদার হাশমি ২ জানুয়ারি, ১৯৮৯ গাজিয়াবাদ শহরে। তিনি গেস্টাপো বাহিনীর হাতে খুন হয়ে গিয়েছিলেন পথমঞ্চে অভিনয়রত অবস্থায়।
পথ নাটক আর শাফদার হাসমি পরস্পর পরিপূরক। সে খুন হয়েছিল, শীতের রাতে।
কারা খুন করেছিল?কেন খুন করেছিল?
সে ছিল… সে ছিল লাল ফৌজের কমরেড।
সে সময় তার মাফলারটি হয়ে উঠেছিল প্রতীক।
হল্লা বোল
তমাল সাহা
মঞ্চ তখন বেশ জমজমাট।
উন্মুখ জনতার ভীড়।
সংলাপের মেজাজে টানটান।
মেরুদণ্ডে বয়ে যাচ্ছে উষ্ণতার স্রোত।
ঠিক তখন পাকানো লাঠি
আর লোহার রড তাদের হাতে।
তারা বলল, শালা! নাটক মারাচ্ছো?
নাট্যকার নীচু গলায় বলল, রুজির নাটক।
নাট্যকার উঁচু গলায় বলল, রুটির নাটক।
সে মাফলারটা কাঁধে ফেলে নিয়ে
আর সব নট-নটীদের বলল,
তোমরা সব পালাও।
আমি একাই সামলে নেবো সব।
মূল নাটক শুরু হলো এখানে।
দাঁড়িয়ে রইল নাট্যকার মহান কুশীলব।
তারা তাকে আঘাত করলো।
তার চশমাটা ছিটকে পড়লো মাটিতে।
মাফলারটা জড়িয়ে গেলো গলায়।
নাট্যকার বলল, জীবনের নাটক।
নাট্যকার বলল, মানুষের নাটক।
সে দৌড়তে লাগলো মজদুর দপ্তরের দিকে।
সে বলল,
মজদুররাই ছিনিয়ে নেবে এই দুনিয়া।
তার কাঁধে এসে পড়লো একটা লাঠি।
সে বলল,
বুর্জোয়াদের ঘড়ির দম ফুরিয়ে এসেছে।
একটা লাঠি এসে পড়লো তার মুখে।
সে বলল, নাটক!
সে তো জীবনের রুটি।
আমরাই নাড়াবো সূর্যের ঝুঁটি।
সে বলল, নাটক!
সে তো মেহনতের নাটক,
নাটক হবে রাজনীতির।
শেষ মূহূর্তে সে বলল,
আওয়াজ তোল!
হল্লা বোল! হল্লা বোল!