অবতক খবর,১৮ ডিসেম্বর,বাঁকুড়া :- 148 বছরের পুরনো বিষ্ণুপুর পৌরসভায় আজও নেই স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনার স্তুপ ভোগান্তির শিকার পুরবাসী , কংগ্রেসের দাবি তৃণমূল সরকারের আমলে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে ।সব প্রকল্প তেই চুরি করার অভ্যাস শাসক দলের দাবি বিজেপির । সাফাই প্রশাসকের ।
সামনেই রয়েছে পৌরসভা নির্বাচন যদিও এখনও পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি তার আগেই বিষ্ণুপুর পৌরসভার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ । বিষ্ণুপুর পৌরসভার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির রয়েছে মল্ল রাজাদের ইতিহাস এই ঐতিহাসিক শহরে বছরের এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক আসে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর দেখার জন্য কিন্তু তারা এসে মন্দির এর পাশাপাশি এই আবর্জনার স্তুপ দেখে পর্যটকরা স্তম্বিত ।
1873 সালে যখন ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন চলছে তখন বিষ্ণুপুর পৌরসভার তৈরি হয়েছিল তারপরে কেটে গেছে 148 টি বছর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে বিষ্ণুপুর পৌরসভায় কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই বিষ্ণুপুরে একটি স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসনের । বর্তমানে তৃণমূল সরকার 12 বছর শাসন করে চলেছে বিষ্ণুপুর পৌরসভা । বর্তমান শাসক দলও ব্যর্থ বিষ্ণুপুর পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে স্বাভাবিক কারণেই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আবর্জনার স্তূপের বড় বড় পাহাড় জন্মেছে । তার ওপর বিষ্ণুপুর পৌরসভার 10 কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের কেস চলছে সবথেকে বেশি সময়কালীন বিষ্ণুপুর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা অর্থাৎ ত্রিশ বৎসর একচেটিয়া শাসন করা প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বিরুদ্ধে ।
তবে বিষ্ণুপুর বাস এর একাংশ মনে করছেন দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নির্বাচন হয়নি স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার চেয়ারম্যান নেই রয়েছে প্রশাসক আরিফ প্রশাসক থাকার জন্যই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড গুলির গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পুরবাসী, ভোটের আগে দাদারা দিদিরা আসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না ।
বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক দেবু চ্যাটার্জী বলেন তৃণমূলের আমলে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর এখন জঞ্জাল নগরী বিষ্ণুপুর এ পরিণত হয়েছে তৃণমূল ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে ব্যর্থ তিনি শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন তৃণমূল মানে কাঠ মানি তারা কাঠ মানির ওপর নজর দেবে নাকি বিষ্ণুপুর বাঁশির সমস্যার উপর নজর দেবে ।
বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক নীরজ কুমার বলেন সব প্রকল্প টি চুরি করার একটা বদ অভ্যাস দাঁড়িয়ে গেছে তৃণমূল নেতাদের জয়পুর থেকে বিষ্ণুপুর ঢোকার আগে যখন দেখবেন প্রচুর দুর্গন্ধ বের হচ্ছে আপনি ভেবে নেবেন বিষ্ণুপুরে প্রবেশ করে গেছেন ।