অবতক খবর,7 ফেব্রুয়ারি: বীজপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পুরোপুরি নিস্ক্রিয়,এই অঞ্চলে তাদের কোন ভূমিকাই নেই। এমনই এক সংবাদ আমরা পরিবেশন করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগে। সেই সংবাদটি নজরে আসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্যের। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন তিনি। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তিনি বীজপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠক ডাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রনেতা জানান,তৃণাঙ্কুর দা বলেছেন, অবতক-এ যা প্রকাশিত হয়েছে তা একেবারে সঠিক। তবে তিনি এও বলেছেন, সংবাদে যা প্রকাশিত হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। অর্থাৎ সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে সকলে একসাথে কাজে লেগে পড়তে হবে।

বীজপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ছাত্রনেতা স্বাগতম দাস দলবদলের পরই ছাত্র পরিষদ পুরোপুরি নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। যারা পদে রয়েছেন তাদের সাথে নেই ছাত্রবল। রাজ্য সরকারের কর্মসূচিগুলি নিয়ে ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কোন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে হাতেগোনা চার-পাঁচজন প্রচারে রয়েছে।

শুধুমাত্র বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বীজপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের দেখা গিয়েছিল। তবে রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্যের বৈঠকের পর,তাঁর নির্দেশের পরেও তাদের কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নজরে পড়ছে না।

এখন প্রশ্ন,কেন এই নিস্ক্রিয়তা? কোথায় তারা যারা বড় বড় মিছিলে যোগদান করে সেই ছবিতে সোস্যাল মিডিয়া ভরিয়ে তুলত? নির্বাচনের প্রাক মূহুর্তে যেখানে ছাত্রবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ছাত্রদলের কোন ভূমিকাই দেখতে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে ছাত্র পরিষদের ভবিষ্যত কি? কি শিখবে পরবর্তী প্রজন্ম? তবে এই ছাত্র রাজনীতিও এখন স্বার্থের রাজনীতিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে? এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।