অবতক খবর,১২ জানুয়ারি,মাকড়দহ, হাওড়া,১১ ই জানুয়ারী,২০২২: আজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বহু প্রতিক্ষিত ঐতিহাসিক হাওড়া জেলায় ডোমজুড় রাঘবপুর ২৬শে পৌষ কালী উৎসব। উল্লেখ্য আনুমানিক ১০০ বছর আগে ঁগোবিন্দ সাধু ও মাননীয় ঁবিপীন বিহারী দাস মহাশয় কালী মা এর মৃন্ময়ী মূর্তী পূজা শুরু করেন। ৬৩ বছর আগে ডোমজুড় নিবাসী মাননীয় শ্রী লালমোহন দাস মহাশয় ২৬ শে পৌষের দিন কালী মা এর প্রস্তর মূর্তী প্রতিস্থাপন করেন।
সেই প্রতিষ্ঠা পূজার প্রধান পুরোহিত ছিলেন মাননীয় শ্রী ঠান্ডারাম ঘোষাল মহাশয়। সেই দিন থেকেই হাওড়া জেলায় ২৬ শে পৌষ উৎসব এক অন্য মাত্রায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করে। উল্লেখ্য কালী মা এর প্রস্তর মূর্তী এখন নব নির্মীত কালী মন্দিরের গর্বগৃহে বিরাজমান। বর্তমান পূজা কমিটির সকল সদস্য , গ্ৰামবাসী , শুভানুদ্দায়ী ও প্রবাসী বন্ধুদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে নবনির্মীত গগনচুম্বি কালী মন্দির।
এই নবনির্মিত কালী মন্দির নির্মানে মুখ্য উদ্যোগী ছিলেন মাননীয় দেবীপ্রসাদ দাস, মাননীয় রাধাকান্ত পাড়ুই, মাননীয় সুশান্ত ঘোষ, মাননীয় সমীর ধাড়া , মাননীয় বিশ্বনাথ পাড়ুই প্রভৃতি আরো অনেক কমিটির একনিষ্ট সদস্য ও সদস্যা। কমিটি সদস্য মাননীয় কুন্তল দাস ও মাননীয় অমিত ধাড়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই নতুন মন্দির ও ২৬ শে পৌষ কালী মা কে দর্শন করে যান ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ঁ শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় মহাশয়।
প্রতিবছর মাননীয় লালমোহন দাস মহাশয়ের বাড়ি থেকে ২৬ শে পৌষের দিন প্রতিষ্ঠা পূজার সামগ্ৰী নগরকীর্তনের মাধ্যমে মন্দিরে আনা হয় ও শুরু হয় প্রতিষ্ঠা পূজা ও সংকল্প। তার পর সারা দিন ধরে ভক্তরা মন্দিরে পূজা দেন। এই উৎসব ঘিরে থাকে বিরাট মেলা , অন্নকূট ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনা বিধীর জন্য এই বৎসর মেলা ,অন্নকূট ও সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ আছে। শুধুমাত্র ২৬ শে পৌষ উৎসব পালিত হবে করোনা বিধী মেনে। সকল দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে করোনা বিধী ও সামাজিক দুরত্ব মেনে হাতে হাতে ভোগ নিবেদন। এই বছরে কুপন ও বিনা কুপনে দুই ভাবেই সকল ভক্তদের জন্য ভোগ নিবেদনের ব্যবস্থা আছে।
যারা উৎসবে আসবেন, সবাই কালী মা এর প্রসাদ পাবেন বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ই হাতে হাতে ভোগ একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে নির্দিষ্ট সময় অবধি দেওয়া হবে, তার মধ্যেই প্রসাদ সংগ্ৰহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। করোনা বিধীর কথা মাথায় রেখেই এবছর মেলা , অন্নকূট ও সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ আছে।
মন্দির চত্তরে যারা প্রবেশ করবেন তাদের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক একথা সাফ জানিয়েছেন ২৬ শে পৌষ উৎসব কমিটি সভাপতি মাননীয় রাধাকান্ত পাড়ুই ও সম্পাদক মাননীয় দেবদূত কর্মকার মহাশয়। ওনারা আরো বলেন যে সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরেই আসতে হবে মন্দির চত্তরে পূজা দিতে বা প্রসাদ নিতে। মন্দির কমিটি সম্পাদক মাননীয় সুশান্ত ঘোষ ও সভাপতি মাননীয় দেবীপ্রসাদ দাস জানিয়েছেন যে করোনা যদি এই বছরেই বিদায় নেয়, তাহলে আগামী বছর থেকেই আবার ২৬শে পৌষ উৎসব স্বাভাভিক ছন্দে ফিরবে বলেই ওনারা আশাবাদী।