অবতক খবর,১২ ডিসেম্বরঃ গঙ্গার উৎস স্থল অর্থাৎ গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গার শেষ বা হলদিয়া পর্যন্ত ৩ ই অক্টোবর থেকে ২২শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘গঙ্গা ভ্রাম্যমান পুস্তক প্রদর্শনী’র আয়োজন করেছে ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইন্ডিয়া’।

মূলত ‘নামামি গঙ্গে’ প্রকল্পকে প্রচার করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি গঙ্গার তীরবর্তী শহরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

গত ৩ ই অক্টোবর শুরু হয়েছিল একটি বাসের মধ্যে দিয়ে লাইব্রেরী প্রদর্শনী, গঙ্গার তীরবর্তী সমস্ত শহর গুলি একে একে অতিক্রম করে আসার পর গত ১০ তারিখ শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় এসে পৌঁছেছে সেই ভ্রাম্যমান গাড়ি। মোট কুড়িটি গঙ্গাতিরবর্তী শহরকে বাছা হয়েছিল সেই কর্মসূচির জন্য এবং তার মধ্যে ১৭ টি শহরে ইতিমধ্যে কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়েছে। ১২ ই ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার দুপুরে জিয়াগঞ্জ সুরেন্দ্র নারায়ন গার্লস হাই স্কুলে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির গাড়িটির উদ্বোধন করা হয়। জিয়াগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে করা হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা গুলো করা হয় ভাগীরথীর তীরবর্তী স্থানে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মলয় রায়। এডুকেশন ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর প্রমদ কুমার শীল, সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক মলয় রায় বলেন, “মোট চারটি ভাষার বই ওই মোবাইল ভ্যান বা ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীতে রয়েছে যেখান থেকে সাধারণ মানুষ বহু তথ্যভিত্তিক বই খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন”।

মোবাইল ভ্যানের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আকাশ কুমার বলেন, “গঙ্গার স্বচ্ছতা, গঙ্গাকে সুরক্ষিত করা এবং গঙ্গার মধ্যে থেকে যে সাহিত্য ফুটে ওঠে, সেই বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যই এই কর্মসূচি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের গঙ্গা সম্পর্কে সচেতনত করার জন্য স্কুলকে সঙ্গে করে এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।”