অবতক খবর,৪ জানুয়ারিঃ আজ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ-
আমরা কি সেমি বুলেট ট্রেন ডিজার্ভ করি?
দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অধ্যাবসায় দিয়ে আমরা এই সেমি বুলেট ট্রেন তৈরি করেছি। এ রাজ্যের মানুষ কি সেটা নেওয়ার জন্য তৈরি? কি তাদের মানসিকতা? এই মানসিকতা নিয়ে আমরা কি বাকি দেশ, বাকি দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব? যারা করছে, তাদের কিছু লোক উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যকে বদনাম করছে। রাজ্যের উচিৎ ব্যবস্থা নেওয়া।
বন্দে ভারত নিয়ে নীরব মুখ্যমন্ত্রী-
তাই অনেকেই সন্দেহ করছেন, জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছুঁড়ে করা হচ্ছে না তো? কাশ্মীরে দেশ প্রেমীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হতো। এখানে রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক বন্দে ভারতে পাথর মারা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, স্টেশনে স্টেশনে কি বিপুল উন্মাদনা। ট্রেনকে স্বাগত জানানোর জন্য মানুষের সীমাহীন উৎসাহ। মানুষ এই ট্রেনকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় খুব কষ্ট পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পিছন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, জনতাকেও এগোতে দিচ্ছেন না। যারা এগোতে চাইছে, তাদের পাথর মারা হচ্ছে।
বিপ্লব দেবের বাড়িতে হামলা-
এটা রাজনীতিতে চলতে থাকে। আমার বাড়িতেও একাধিকবার হামলা হয়েছে। অন্যান্য নেতার বাড়িতে হামলা হয়েছে। যারা ধীরে ধীরে গুটিয়ে যাচ্ছে, তারা এই রাজনীতি আমদানীর চেষ্টা করছে। উৎপাত করে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা।
এর আগেও এ ধরনের ঘোষনা হয়েছিল। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেউ যায়নি। সি এম জাটুয়া রায়দিঘী গিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মাছ ভাত খেয়েছিলেন। ওনার দলের কেউ ওনাকে খেতে দেয়নি। এই প্রকল্প গুলো মিডিয়াকে বলে বাজার গরম করার চেষ্টা। কারণ ওদের এখন পাবলিকের সামনে মুখ দেখানোর জো নেই।