অবতক খবর,৫ জানুয়ারিঃ নতুন নতুন সব স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন স্লোগান সুরক্ষা কবচ। এই নিয়ে বিশেষ সভা ডাকলেন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। সমস্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কাঁচরাপাড়ার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অশোক তালুকদার,যিনি পুরনোরা সম্মান পারছেন না বলে বিতর্ক তুলে দিয়েছিলেন, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তবে এই সভায় কাঁচরাপাড়ার পৌর প্রধান কমল অধিকারী, হালিশহরের উপ পৌর প্রধান শুভঙ্কর ঘোষ উপস্থিত থাকলেও রাজু সাহানিকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। হালিশহরের পৌর প্রধান কে হবেন বা আদৌ তিনি হবেন কিনা বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে এমনই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
সে যাই হোক সুরক্ষা কবচের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাহলে কি এই ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সুরক্ষা কবচ পায়নি? এবং ওয়ার্ডের ওই যে বলে কাউন্সিলর, ওয়ার্ড প্রতিনিধি তারা দিদির দূত হয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাবেন,এই প্রকল্প তো কাঁচরাপাড়া পৌরসভার নির্বাচনের আগেই একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল স্থানীয়ভাবে যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জেতার পরেই জনতার দুয়ারে যাবেন। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছিল দুয়ারে কাউন্সিলর। কিন্তু নির্বাচনে জেতার পর কাউন্সিলররা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন, নির্বাচনের পর এই ওয়ার্ডগুলিতে তারা কতবার জনসংযোগ করেছেন, কার বাড়িতে কতবার গিয়েছেন, সুতরাং সেই প্রকল্পটির জনসাধারণের মতে ভেস্তে গিয়েছে। এখন তারা আবার দিদির দূত হিসেবে যাবেন। কোন সংবাদে নিয়ে যাবেন,কি নিয়ে যাবেন!
হিসেবে দেখা যাচ্ছে ভোটের আগে এই সমস্ত বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই যে তারা যেমন বলেছিলেন পৌরসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে কাউন্সিলর। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দিদির দূত। যেভাবে প্রকল্প ঘোষিত হচ্ছে তাতে তো মনে হচ্ছে বাংলা ভাষায় শব্দের ঘাটতি পড়ে যাবে। দেখা যাক এখন এই দুটি প্রকল্প কোন মাত্রা পায়। সুরক্ষা কবচ এবং দিদির দূত। কবচ কথার অর্থ বলতে আমরা বুঝি কুসংস্কারপূর্ণ এক বস্তু, যা গলায় কোমরে হাতে বাঁধতে হয়। এখন দেখা যাক এই সুরক্ষা কবচ কতদূর যায়।
আর দূতও তো অনেক প্রকার আছে, যমদূত ভগ্নদূত,এমন অনেক কিছুই আছে এখন এই দৌত্য বা দূতগিরি মানুষের কতখানি কাজে লেগেছে তা ভবিষ্যৎই বলবে।