অবতক খবর,৬ জানুয়ারিঃ এখন পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে স্লোগানের উৎসব চলছে। ফলত নতুন নতুন স্লোগান তৈরি হচ্ছে। স্লোগান বারবার পাল্টাচ্ছে কেন? এই স্লোগান যে জনগণের গান হয়ে উঠছে না এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী স্পষ্টাস্পষ্টি ঘোষণা করে দিয়েছেন। স্লোগানও যে চুরি করতে হয়, নিজের সৃজন ক্ষমতায় তৈরি করা যায় না,তার প্রমাণ রাখছেন এই তৃণমূল দলটি। এমনই বলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলে তফাৎ আছে? আপনারা কি ভেবে দেখেছেন? কোন স্লোগানটি আগে তৈরি হয়েছে? ঘর ঘর মোদী এই স্লোগানটিই তো চুরি করে তৈরি হয়েছে বা মোদির থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই তো তৈরি হয়েছে দুয়ারে সরকার। আবার এখন শোনা যাচ্ছে দুয়ারে সরকারের বদলে দিদির দূত এই দুটি স্লোগানের মধ্যে কি আসলে কোনও পার্থক্য আছে? তিনি বলতে চাইছেন তৃণমূল আর বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। তিনি বলেন, আমরা তো বলেই দিয়েছি যাহা একান্ন তাহাই বাহান্ন। যাহা ১৯ তাহাই বিশ। অর্থাৎ যাহাই তৃণমূল তাহাই বিজেপি। যাহা বিজেপি তাহাই তৃণমূল। ফলত বিষয়টি তাই বিজেমূল।
তিনি বলেন, এইরকম নাম স্লোগান দিয়ে তো অনেক প্রকল্প তৈরি হলো। লক্ষ্মীর ভান্ডার হলো। তো এমন প্রকল্পের তিনি নাম করছেন না কেন? দুয়ারে চাকরি প্রকল্প! চাকরির প্রকল্প দিদি ঘোষণা করুক। এই সমস্ত বিভিন্ন স্লোগান না তৈরি করে আসল যে প্রকল্প সেটা তিনি বলছেন না কেন! এসব কোনো চাকরি দেবার প্রকল্প নয়, দান খয়রাতির প্রকল্প। ভোট কেনার প্রকল্প না করে তিনি চাকরির প্রকল্প করুন। তাতে মানুষের উন্নতি হবে তার পক্ষেই মানুষ থাকবেন। আসলে তো তিনি তা করবেন না। মানুষ এই খয়রাতির প্রকল্পে ঝুঁকে গেছেন তিনি বুঝতে পেরেছেন আসল যে প্রকল্প, সেটা হল চাকরির প্রকল্প কর্মী নিয়োগের প্রকল্প। মানুষ তার নিজের সম্মানে বাঁচুক, নিজের অর্থ উপার্জনে বাঁচুক এমন প্রকল্প তৈরি করবে না এই রাজ্য সরকার!
জানা গেছে মা মাটি মানুষ, জয় বাংলা, খেলা হবে– এসব স্লোগান অনেক আগেই বাংলাদেশে তৈরি হয়ে গিয়েছে।