অবতক খবর,৯ ফেব্রুয়ারিঃ অবশেষে শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জীবানন্দ সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্র নাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করলেন শিলচর আবুল কালাম আজাদ রোড বা সেকেন্ড লিংক রোড এবং থার্ড লিংক রোড এলাকার জনতা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবাদী সভা ডেকে সোচ্চার হয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্দেশে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকপত্র পাঠানোরও
্তোড়জোড় শুরু করেছেন
এদিন সেকেন্ডে লিংক রোড জন আকাঙ্ক্ষা অভিযোগ সেলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ডব্লুএসএস প্রকল্পটি জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায়। ২০২১ সালের ৩১ জুলাই এ কে আজাদ রোডে ওই জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছিল। সরকার এই প্ল্যান্টের জন্য ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল। এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে বিনামূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ
সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্র নাথ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রকল্পটি জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় নয় জানিয়ে প্রতিটি হাউস কানেকশন বাবদ ৪ হাজার টাকা করে নিতে শুরু করেন। এর ১ হাজার টাকা সিকিউরিটি এবং ৩ হাজার টাকা প্ল্যান্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য। তা ছাড়া মাসে মাসে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে জল জীবনের নাম করে। আর এসব টাকা নিচ্ছে সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটি। অথচ সিলমোহর পড়ছে লিংক রোড ওয়াটার সাপ্লাই স্যানিটেশন কমিটির……..
সেকেন্ডে লিংক রোড জন আকাঙ্ক্ষা অভিযোগ সেলের সভাপতি ড. মালবিকা চৌধুরী ও সম্পাদক ড. নিখিল দাস অভিযোগ করেছেন, শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জীবানন্দ সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্র নাথের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তারা সরব হয়েছেন। অভিযোগ জানানো হয়েছিল জেলাশাসককেও। পরবর্তীতে জেলাশাসক ঘটনার তদন্ত করতে ম্যাজিষ্ট্রেট কিষেণ চরাই ত্রিপুরাকে দায়িত্ব দেন। ম্যাজিষ্ট্রেট তদন্তেও তাদের দুর্নীতির বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। ড. মালবিকা চৌধুরী ও ড. নিখিল দাস আরও জানিয়েছেন, মাস পাঁচেক আগে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরটিআই করলে জানা যায়, প্রতি হাউস কানেকশন বাবত সরকার ২ হাজার ৯৭৭ টাকা করে বরাদ্দ করেছে। হাউস কানেকশন দেওয়ার পর ঠিকাদার ৯৫ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা তুলেও নিয়েছেন। অথচ সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জীবানন্দ সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্র নাথ ডব্লুএসএসকে ঢাল করে দরিদ্র খেটে খাওয়ায় মানুষদের কাছ থেকে হাউস কানেকশন বাবত ৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করে চলেছেন। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হল, হাউস কানেকশন বাবত ঘর প্রতি সরকার যে এত টাকা বরাদ্দ করেছে এ বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় শিলচর সেকেন্ড লিংক রোড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জীবানন্দ সিকদার এবং সভাপতি সুসিম চন্দ্র নাথ ২০২১ সালের ৩১ জুলাই এ কে আজাদ রোডে উন্মোচনের সময় লাগানো ফলকটিও সরিয়ে দেন। এর পরিবর্তে এখানে খালি একটি ফলক স্থান পায়। এ সব দুর্নীতি নিয়ে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে তারা গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকপত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্দেশে পাঠাবেন, জানিয়েছেন ড. মালবিকা চৌধুরী ও ড. নিখিল দাস