অবতক খবর,১০ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের অনেকগুলি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মতো সল্টলেক ও কল্যাণীতেও জমির ৯৯৯ বছরের লিজ়ের নিয়ম খারিজ করে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই বিল আসতে পারে বলে নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর। বিধানসভায় ওই বিল পাশ হলে সল্টলেক এবং কল্যাণীর বাসিন্দারা সম্পূর্ণ রূপে তাঁদের জমির মালিকানা পাবেন। যার অর্থ, বাড়ি বিক্রি কিংবা কেনার জন্য তাঁদের আর নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। দফতরকে এককালীন নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে জমির মালিকানা নিজেদের নামে করে নিতে পারবেন তাঁরা।

এবার সল্টলেকের জমির চরিত্র বদল করায় উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এক আধিকারিক জানান, এককালীন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে দিলে বাড়ির মালিক সব সরকারি বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। পাশাপাশি, সরকারের কোষাগারেও টাকা আসবে।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে সল্টলেক তথা বিধাননগর এবং কল্যাণী গড়ে উঠেছিল। কথিত আছে, সল্টলেকে বাঙালিকে বেঁধে রাখতে সেখানকার জমির ক্ষেত্রে ৯৯৯ বছরের লিজ়ের নিয়ম করে দেওয়া হয়। যাতে বাঙালিরা বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে না পারেন। এবং প্রয়োজনে নগরোন্নয়ন দফতরও জমি ফিরিয়ে নিতে পারে।

সম্প্রতি দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, তারকেশ্বর-রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-সহ একাধিক এলাকার জমির চরিত্র লিজ় থেকে ফ্রি হোল্ডে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, সল্টলেক ও কল্যাণীর ক্ষেত্রে ফ্রি হোল্ড করার কিছু আইনি সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নতুন আইন করার জন্য বিধানসভায় বিল আনা হবে।’’ চলতি অধিবেশনেই সেই বিল আসতে পারে বলে বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ।