ধর্ম
তমাল সাহা

মনে করো
রাষ্ট্র ক্ষমতাগর্বী, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক– হিন্দুত্ব কায়েম করতে চায়।
তুমি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ চাও বলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছ।

রাষ্ট্রের হাতে পর্যাপ্ত সমরাস্ত্র।
তুমিও রণকৌশলী কম নও। তৈরি করেছ বাফার ওয়াল। বেদ বেদান্ত পুরাণ উপনিষদ গীতা রামায়ণ মহাভারত জড়ো করে তৈরি করেছ প্রাচীর।
প্রাচীরের ওপারে রাষ্ট্র, এপারে তুমি।
ধর্মপুস্তকের প্রাচীর তৈরি করে তার আড়ালে লড়ছ তুমি।
রাষ্ট্র কী করবে? ধর্মগ্রন্থের প্রাচীর দেখে থমকে দাঁড়াবে?

গ্রন্থের প্রাচীর ঝাঁঝরা করে গুলি ছুটে আসবে তোমার দিকে।
ঈশ্বরের সমস্ত নামাবলী লণ্ডভণ্ড হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাবে
তার সঙ্গে মিশে যাবে তোমার লাশের রক্ত প্রবাহ। সেই রক্তস্রোত ধর্মগ্রন্থগুলি চেটেপুটে খাবে!

তাহলে কি দাঁড়ালো? ধর্ম বড়!
হিন্দুত্বের তো জাত খোয়া গেল।
ধর্ম তখন তোমার উল্লাস করবে, না মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকবে?

কৃতজ্ঞতা কেন আমি নাস্তিকঃ ভগৎ সিং