অবতক খবর: সম্প্রতি পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছিল। এই বৈঠকে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়ছে। এই নিয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের যুক্তি, ‘পাটনার বৈঠক দেখিয়ে এক দল প্রচার চালাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের জোট হয়েছে। আর একদল রাম-বাম জোট বলে বিজেপির মিছিলে সিপিএমের পতাকা খুঁজে বেড়াচ্ছে। রাজনীতিদের কেউ স্বাধীন পরিসরই দিচ্ছে না বামেদের।‘ শাসকদল। খোদ তৃণমূল নেত্রী যাকে বলছেন ‘মহাঘোঁট’। আবার বিজেপি বলছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসের লড়াই আসলে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’। তারাই প্রকৃত বিরোধী হিসাবে লড়াই করছেন।

বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এসে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, পাটনার পর শিমলায় জোট নিয়ে চর্চা হবে, কিন্তু রাজ্যে তাঁদের লড়াই থাকবে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কথায়,’রাজ্যে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী বিজেপির ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা হবে। নবান্নের দুর্নীতি ও দুষ্কৃতীরাজ থেকে ৫৬ ইঞ্চি এসে মানুষকে বাঁচাবে না।’ সেলিম মনে করিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁদের কান্নুরে পার্টি কংগ্রেসেই হয়েছিল।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের যুক্তি, আসলে বাংলার মানুষ তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছেন। বামপন্থীদের পুনরুত্থান হচ্ছে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাঁর দাবি, যদি সুষ্ঠ ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তবে বামেদের পুনরুত্থানের ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ-সহ একাধিক নেতার দাবি, গ্রামের দেওয়ালে, পোস্টারে-ব্যানারে যে ভাবে কোথাও সিপিএম-বিজেপি, কোথাও আবার বিজেপি-কংগ্রেসের যৌথ প্রচারের ছবি উঠে আসছে, তাতে স্পষ্ট তিন বিরোধীদলের তলায় তলায় আঁতাত হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,’রাম-বাম-শ্যাম’ জোট। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে কংগ্রেস-বিজেপির প্রার্থীর যৌথ পোস্টার শাসকদলের দাবিকে আরও জল বাতাস দিয়েছে। যদিও দুই প্রার্থীই দাবি করেছেন, তাঁরা জানেনই না কে ওই পোস্টার দিয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতির ভোটে বাম-বিজেপি জোট করে লড়াই করেছে। যদিও সিপিআইএম একে মান্যতা দেয়নি।