অবতক খবর: এবার ইদের নমাজে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রত্যেকবার এই উৎসবে যান। চোটের জন্য তিনি এবার যেতে পারেননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা সেরে বাগডোগরা যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হেলিকপ্টার সমস্যায় পড়ে। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করতে হয়। তাতে হাঁটুর লিগামেন্ট এবং বাঁদিকের হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই বাংলার মানুষজনের প্রশ্ন, এখন কেমন আছেন মুখ্যমন্ত্রী? এবার মানুষের উৎকণ্ঠা কাটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, ‘আমার স্বাস্থ্যের উন্নতি নিয়ে মানুষের শুভেচ্ছা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। সেবক এয়ারবেসে যেদিন আমার হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করল সেদিন থেকেই আমি অনেক ঘনিষ্ঠজনের ফোন পেয়েছি।’ এছাড়া আরও অনেক কথা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ইদ এবং উল্টোরথ উপলক্ষ্যে একটি টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি চোট নিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তারপরও কানে এসেছে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলার মানুষের উৎকণ্ঠার কথা।

বৃহস্পতিবার সকালে বড় মসজিদ, নাখোদা মসজিদে, টিপু সুলতান মসজিদে এবং রেড রোডের নমাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু চোটের জন্য নমাজে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে সকালে ফেসবুক পেজে সকলকে ইদ–উল–আযহা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। করেছেন টুইটও। ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বাংলার মানুষের উৎকণ্ঠা কাটাতে টুইটে লেখেন, ‘সকলের আশীর্বাদে এবং চিকিৎসক টিমের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চেষ্টায় সুস্থ হয়ে উঠছি। তাঁদের নেতৃত্বেই বাড়িতে ফিজিওথেরাপি চলছে।’

এই চোটের জেরে যন্ত্রণার মধ্যেও ইদ–উল–আযহা এবং উল্টোরথ উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, ‘এই উৎসবে সবার মন আনন্দে ভরে উঠুক। সকলের জন্য রইল আমার ভালবাসা ও শুভাশিস। ভগবান জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করি সকলের জীবনে খুশি, সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’ জানা যাচ্ছে, এই চোট নিয়ে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যাওয়াও কার্যত অসম্ভব তৃণমূল সুপ্রিমোর। তাই তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলেই। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি রয়েছে বীরভূমে। আবার আগামী ১৪ জুলাই সিমলায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকের কথা আছে। সেখানে কি যেতে পারবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন।