অবতক খবর: পঞ্চায়েতে একাধিক দফা ভোটের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের সওয়াল, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি দিনই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। গুলি চলছে। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। ফলে তৃণমূল স্তরে বাহিনী পৌঁছতে পারছে না। তাই অপর্যাপ্ত এই বাহিনী দিয়ে একাধিক দফাতে ভোটগ্রহণ হোক।‘ রবিবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুন হয়েছে। ভোটারদের প্রাণহানি আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক দফায় ভোটের আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে কোচবিহারে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে বোমা বাঁধতে গিয়ে শাসকদলের অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস, বাম, আইএসএফ। সব মিলিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধারাবাহিক ভাবে রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি। সোমবার সকালে হাড়োয়ায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্য হয় পরিতোষ মণ্ডল নামের একজনের। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও একজন। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে রবিবার রাতেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে আনারুলের গায়ে গুলি লাগেনি। তাঁর সঙ্গে থাকা কংগ্রেস কর্মী আরিফ গুলিবিদ্ধ হন। এদিকে মুর্শিদাবাদেরই মানিকচকে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্ত তিন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, মানিকচক অঞ্চলের বাউরিমারি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। যদিও হাত শিবির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।