অবতক খবর: রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনি মোতায়েনের প্রশ্নে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এবার স্বস্তির খবর সামনে এল। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৪৮৫ কোম্পানি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সিআরপিএফ পাঠাচ্ছে , প্রথমে ২২ কোম্পানি তারপর ৩১৫ কোম্পানি এবং আজকে ৪৮৫ কোম্পানি মোট ৮২২ কোম্পানি আসছে পশ্চিমবঙ্গে।
পঞ্চায়েত ভোটে মাত্র ৫ দিন বাকি। কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধীরা যে দফা বাড়ানোর মামলা করেছিল সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছে এক দফাতেই ভোট হবে। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি মত ৮২২ কোম্পানি আসছে বাংলায়।মোটামুটি ভাবে নির্বাচন নিয়ে বেশিরভাগ জটিলতাই কেটে গেল, তাই ৮ তারিখে ভোট প্রায় নিশ্চিত।
বাহিনী আসলে শুধু হবে না, তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে । এরজন্যে চাই সময়। এরিয়া ডমিনেশন থেকে শুরু করে ভোটারপদের আস্থা অর্জনের গোটা প্রক্রিয়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা বড়। যদিও রাজ্য পুলিশ এবং স্থানীয় থানা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন সহ এরিয়া ডমিনেশন এবং ভোটারদের আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়াতে যুক্ত থেকে কাজ করে। এককথায় স্থানীয় থানাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লিড করে।
তবে প্রশ্ন উঠছে ৫ দিন আগে জানা গেল কমিশনের চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদাসীনতার কারণে সময় নষ্টের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যে আসা নিয়ে জটিলতা এবং ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তার যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল এযাবৎ কালে, তার দায় কি অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নেবে?