অবতক খবর: সাধারণ ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠলেও দেশ জুড়ে আনাজপাতির দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই৷ রবিবার ভোপালের খুচরো বাজারে টমেটোর বিক্রয়মূল্য প্রতি কেজিতে পৌঁছয় ১৫০ টাকায়৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাকি সবজির দামও৷আদার দাম ঘোরাফেরা করছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকাতেই৷ কাঁচালঙ্কার দাম সাম্প্রতিক রকেটের ঊর্ধ্বগতি থেকে নেমে এসে কিছুটা কমে বিকোচ্ছে ১০০ টাকায়৷রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়৷ পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার কাছাকাছি৷

কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ঢেঁড়শের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা৷ পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়৷ ১ কেজি ঝিঙে কিনতে পকেট থেকে যাচ্ছে ৮০ টাকা৷অগ্নিমূল্য বাজারে বিনসের দাম প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা৷ উচ্ছে মিলছে ৬০ টাকায়৷মাঝে একলাফে বেড়ে গিয়েছিল বেগুনের দাম৷ সেখান থেকে কিছুটা কমে বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায়৷ তুলনায় কিছুটা সস্তা মধ্যবিত্তের হেঁশেলের মুশকিল আসান কুমড়োর দরও একই৷

আর যে সবজি ছাড়া বাঙালির হেঁশেল অচল, সেই আলু চন্দ্রমুখী হলে কেজি প্রতি দাম পড়ছে ৩০ টাকা৷ গরমের পরিচিত সবজি লাউয়ের দামও কেজিতে ৩০ টাকা৷আগুন বাজারের জন্য অন্যতম কারণ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা৷ মনে করছেন বিক্রেতারা৷ এ বছর একটানা তীব্র গরমের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজির চাষাবাদ৷ এ বছর অনেক কৃষকই সবজি ছেড়ে অন্য চাষে চলে গিয়েছেন৷ কারণ গত বছর আনাজপাতির দাম বেশি ওঠেনি৷ তাই অনেকেই সবজি চাষে বিমুখ৷ সবজির বিক্রেতা ও কৃষকদের ধারণা, বর্ষার বৃষ্টি নিয়মিত হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সবজির দাম কমবে৷ তবে চড়া গরম এবং অকালবর্ষণ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অগ্নিমূল্য হ্রাসে৷