অবতক খবর: বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। আগামী ১২ জুলাই রুজিরার আবেদনের শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। বিমান ধরতে গিয়ে বাধা পেয়ে ফিরতে হয়েছিল বিমানবন্দর থেকে। সেই নিয়ে চরমে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা।

এর আগে যদিও রুজিরার বিদেশযাত্রায় ছাড়পত্র দিয়েছিল কয়লাকাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । কিন্তু সম্প্রতি তারাই বিমানবন্দরে বিদেশ যেতে উদ্য়ত রুজিরা এবং তাঁর সন্তানদের আটকায়। বিমানবন্দরেই রুজিরাকে নোটিস ধরানো হয়। ওই নোটিসে জানানো হয়, বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রুজিরা। তাঁর হয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবল। ১২ জানুয়ারি আবেদনের শুনানি রয়েছে।

গত জুন মাসে বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডির মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি। তার পর ওই মাসেই ইডির মুখোমুখি হন রুজিরা।

উল্লেখ্য, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির অফিস থেকে ইডির দুই আধিকারিক আসেন কলকাতায়। অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়। সূত্রের খবর, ইডি দফতরে যাওয়ার আগে বাড়িতে আইনি পরামর্শ নেন রুজিরা। সেই নিয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। রাজনীতির ময়দানে তাঁর সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরেই পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলেন রুজিরা। সেই সময় তাঁকে এবং সন্তানদের আটকানোয় হয় বলে জানান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, চূড়ান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার রুজিরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। যদিও সেই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বক্তব্য ছিল, “ডাকাডাকির খবর অনেক হল, এবার গ্রেফতারির খবর করতে হবে।”