অবতক খবর: ‘শুভেন্দু অধিকারী ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছ। তাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ কে অফার করবে?’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, ‘যে লোকটা ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়, খবরের কাগজে টাকা মুড়িয়ে নেয়, তাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ কেউ অফার করে? ‘ বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘অজিত পওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা রয়েছে, এ তো ৫ লাখ টাকাও ছাড়েনি। যত স্ক্যাম বাংলায় হয়েছে সারদা নারদা রোজভ্যালি, সবেতে ওর নাম আছে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ওকে অফার করতে যাবে কেন? ওর রেট ৫ লাখ’।
পাশাপাশি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আপত্তি ছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে ক্ষমতা হ্রাস হচ্ছে বা সঙ্কুচিত হচ্ছে। সেই কারণে তারা আদালতে গিয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু বিচারব্যবস্থা মনে করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে। আমাদের অভিপ্রায় যদি খারাপ হত তাহলে তো দলের তরফে আমি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি তো করিনি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে দেওয়ায়।’ এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বকেয়া টাকা আটকে রাখা নিয়েও এদিন বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় সভা করার সময় এমনই দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু, ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। ওদের দেওয়া সব পদ ছেড়ে দিয়ে এসেছি। শেষে ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল। সেটাও ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে’। শুভেন্দুর এই দাবির প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন করা হলে এহেন জবাব দেন অভিষেক।
এদিন রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ খোলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। রাজভবনে পিস রুম খোলা প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘পিস রুম-কন্ট্রোল রুম করোমণ্ডল দুর্ঘটনার দিন খুললেন না কেন?’ অভিষেকের আরও প্রশ্ন, ‘নির্বাচন কমিশনের হাতে যদি রক্ত লেগে থাকে তাহলে মণিপুরে যে ৩০০ জন মারা গেল তার রক্ত কার হাতে লেগে আছে?’