অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বঙ্গের আকাশ-বাতাস। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ছে বোমা, চলছে গুলি। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভোট শুরুর পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। যার পালটা দিয়ে তৃণমূলের তোপ, ৮ জনের মধ্যে ছ’জনই শাসকদলের।

ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসা আর অশান্তির খবরে তপ্ত বাংলার রাজনীতি। মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটের দিন, ছবিটা একেবারেই বদলায়নি। প্রাণ হারিয়েছেন কংগ্রেস কর্মী, নিহত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। শুধু ভোটের দিনই প্রথম তিন ঘণ্টায় হিংসার বলি ৮জন। যা নিয়ে টুইটে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। লেখা হয়েছে, “তিন ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণতন্ত্রের মডেল। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না।”

পাল্টা টুইট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, “হিংসা নিয়ে উত্তেজনা করছে ওরা। কিন্তু ভুলে যাচ্ছে যে, যে আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে তাদের মধ্যে ৬ জনই তৃণমূল কর্মী। বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ তারা।”

প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকে ভোটের বলি হচ্ছেন একের পর এক দলীয় কর্মী। কোচবিহারে প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। মুর্শিদাবাদে ২, মালদহ ও নদিয়া একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। একই ছবি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। সেখানেও খুন এক তৃণমূল কর্মী। এদিকে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চতে বোমাবাজিতে নিহত তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয়। যিনি নিজেও এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগের তির নির্দলদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, এদিন ভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে বেশ কয়েকজন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের।