অবতক খবর: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা পর্ব মিটে যাওয়ার পরও ১৫টি বুথে ফের নির্বাচনের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। হাওড়ার সাঁকরাইলের ওই ১৫টি বুথে গণনার দিন ব্যালট চুরির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পরে গিয়েছিল। ওই ১৫টি বুথের নির্বাচনকে কার্যত বাতিল ঘোষণা করে দিল কমিশন।

অভিযোগ গণনার দিন ওই ১৫টি বুথের ব্যালট পেপার চুরি করা হয়েছিল। অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পালের নেতৃত্বে ব্যালট লুট হয়েছে। কমিশন অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট চায়। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ওই বুথগুলিতে গোটা নির্বাচনকে কার্যত বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে। একই ধরনের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার ৪টি বুথেও ফের নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোটপর্বের পাশাপাশি ভোটের গণনা পর্বেও গোলযোগের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা।

বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস তিন দলেরই অভিযোগ ছিল, গণনাকেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মারধর করা হয়েছে। আবার সরকারি আধিকারিকদের প্রভাবিত করে ফলাফল বদলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছিল হাওড়ার সাঁকরাইলের মানিকপুর এবং সেরেঙ্গার ১৫টি বুথের ক্ষেত্রেও।

এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এদিন গণনার বেনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ,”গণনাকেন্দ্রে পুরো সিস্টেম কাজ করছিলো এই উদ্দেশ্যে যে কিভাবে বিরোধীদের কোণঠাসা করা যায় ও চাপে ফেলা যায়।” শুভেন্দুর অভিযোগ,”গ্রামে গঞ্জে ‘কচুরিপানা শিল্প’ হোক বা না হোক, ভোটের সময় কারচুপি শিল্পকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে শাসকদল।” যদিও সব অভিযোগই খারিজ করে দিয়েছে শাসকদল।

বৃহস্পতিবারই একযোগে গণনায় হিংসার অভিযোগে কংগ্রেস এবং বিজেপি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছে। পুরুলিয়া জেলা বিজেপির তরফে জেলায় গণনায় অনিয়ম নিয়ে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের দুই জেলা পরিষদ সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, জয়ের পরও সার্টিফিকেট পাননি তাঁরা।