অবতক খবর: সোমবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম পুলিশের বিরুদ্ধে অতি-সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। কেনও পুলিশ নওশাদকে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে, সে প্রশ্ন করেন আইনজীবী। আইএসএফ বিধায়কের দাবি, তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে না পারায় কাজে বিঘ্ন হচ্ছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানি সম্ভাবনা।

নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভাঙড়ে ঢুকতে পুলিশি বাধা। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। ভোট পর্ব মিটলেও বোমাবাজি-গুলি বন্ধ হয়নি। ঝরেছে প্রাণ। পরবর্তীতে ভাঙড়ের নির্দিষ্ট এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ের প্রবেশের ক্ষেত্রে নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় প্রবেশের অনুমতি মিলছে না সকলের। শুক্রবারের পর রবিবারও ফের ভাঙড়ে প্রবেশের আগে বিধাননগরের হাতিশালায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

একাধিকবার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। বারবার তাঁকে জানানো হয়েছে, নতুন কোনও নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে ভাঙড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এদিকে নিজের অবস্থানে অনড় নওশাদ। প্রয়োজনে হেঁটে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু দুপুর থেকে সন্ধে গড়িয়ে গেলেও অনুমতি মেলেনি। এরপরই আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইএসএফ বিধায়ক।