অবতক খবর: বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নন্দীগ্রামের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে জখমদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। জখমদের হাতে তুলে দেন চেক।ভোটে জখম দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ মমতার।সরকার ফেলার হুঁশিয়ারি থেকে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কলকাতার রাজপথে মিছিল নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ভোট হিংসা ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “হিংসা, হিংসা করে চিৎকার করছে। অথচ বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে ভোটে জিততে না পেরে অত্যাচার করছে। স্ত্রী, সন্তান-সহ পুড়িয়ে দিয়েছে।” কলকাতায় এদিন মিছিল করে বিজেপি। তা নিয়েও গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন, “মিছিল ছাড়া আর কী করবে? যাদের কাজ নেই। কর্ম নেই। তারা মিছিল করবে। বিজেপির একটাই কাজ হিংসা করো। বিভেদ ছড়াও। মানুষের রক্ত নাও।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা আগেই জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে হিংসায় কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা। সেই মতো এদিন জখমদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেকও তুলে দেন তিনি।
গত রবিবার দলীয় এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর মন্তব্যের সমর্থনেই সুর চড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। যেকোনও সময় সরকার পড়ে যেতে পারে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। ওই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে, “বলুন আগে বালতি ফেলতে, তারপর সরকার উলটোতে আসবে। কাল থেকে তো ভয়ে থর থর করে কাঁপবে।” যদিও এনিয়ে পালটা বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।