অবতক খবর: প্রাইমারি টেট পরীক্ষাতে সংরক্ষিত আসন পাশের নম্বর নিয়ে দুই বিচারপতির রায়ে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। এবার সেই মামলা গেল তৃতীয় বেঞ্চে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য একক বেঞ্চ আগামী ১৬ আগস্ট এই মামলার শুনানি করবেন। বৃহস্পতিবার সবপক্ষের আইনজীবীরা ওই এজলাসে গিয়ে মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদন করেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল পাশ মার্কস ৮২ ধরতে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ ও এনসিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে এই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। বোর্ড সেই সিদ্বান্ত মেনে নেয়। শুরু হয় ইন্টারভিউ-ও। কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে কয়েকজন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৮২ পেলে পাস করানো যাবে না। মামলায় হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করলেও রায় নিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করেন। এবার সেই মামলা গেল তৃতীয় বিচারপতির কাছে।
১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছিল। টেট পাশের জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের জন্য ৫৫ শতাংশ ধার্য ছিল। সেই অর্থে ৮২.৫ পেলে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা পাস করতেন। এনসিটিই’র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই এ ক্ষেত্রে তাঁদের উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর আসলে ৫৪.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবে তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। সে ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়ম প্রযোজ্য হত।